খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির উপজেলার আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এম,ই আজাদ চৌধুরী বাবুল বাসা থেকে এক উপজাতি কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ১৭ফেব্রুয়ারী রাতে ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর ধারণা বিবাহিত এম ই আজাদ চৌধুরী বাবুলের সাথে ওই ছাত্রীর অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
ছাত্রীর পিতা মংশে মারমা জানান তার মেয়ের সাথে এমই আজাদ চৌধুরী বাবুল দীর্ঘদিন প্রেম সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিল। সরকারী চাকুরী ও বড়ডলু উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দীর্ঘদিন এই সম্পর্ক স্থাপন করেন।
আজ সকাল ৮টা মেয়ে পরিক্ষা আছে বলে ছাত্রীটি বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তাকে মানিকছড়ির উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়নের বড়ডলু এলাকার এম ই আজাদ চৌধুরীর বাসায় ডুকতে এলাকার লোকজন দেখতে পায়। মেয়ের বাবা যখন খোজ খবর নিতে থাকেন তখন স্থানীরা জানান মেয়েটি বাবুল চৌধুরীর বাসা ঢুকতে তারা দেখেছেন।
এলাকার উপজাতি লোকজন বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪টার পর ওই বাড়িটি ঘেরাও করে রাখে। বিষয়টি নিয়ে নানা গুনঞ্জন শুরু হয় সমাজে। ঘেরাও করার সংবাদ পেয়ে রাত ৭ টার দিকে পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই নেতা পালিয়ে যায়।
জানাগেছে, মেয়েটি চট্টগ্রাম শহরে এমইএস কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্রী,
এই ব্যাপারে মেয়ের অভিবাবক ও মেয়ের মা জানান মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক দপ্তর সম্পাদক এম ই আজাদ চৌধুরীর সাথে সম্পর্ক আছে। অভিবাবকের দাবী মেয়েকে পুষলিয়ে সারাদিন তার বাড়ীতে রেখে তাকে ধর্ষন করা হয়েছে।বিষয়টি দামাচাপা দেওয়ার জন্য অনেক বড় বড় লোকজন ফোন করেছেন।
স্থানীয়রা জানায় ঘটনার দুইদিন আগ থেকে এম ই আজাদ চৌধুরী বাবুল এর বাসায় তার স্ত্রী সন্তানরা কেউ ছিলনা।
মানিকছড়ি থানার ওসি আমির হোসেন জানান উপজাতীয় তরুনী আটক আছে মর্মে সংবাদ পেয়ে তরুনীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এই রিপোট লেখা পর্যন্ত বর্তমানে মানিকছড়ির থানায় ভিকটিম রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ওসি জানান প্রেম সম্পর্ক আছে বলে দাবী মেয়ের।
এমই আজাদ চৌধুরী বাবুল বলেন আমার এই বিষয় কিছুই বলার নেই, আমারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।
