ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রাম কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত খুনের আসামীর মৃত্যু

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম কেন্দ্রিয় কারাগারে হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হারুন অর রশীদ (৫৮) নামে এ কয়দির মৃত্যু হয়েছে।

হারুন অর রশীদ জেলার রাউজান উপজেলার উত্তর গুজরা এলাকার গোলাম হোসেনের ছেলে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রিয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ জামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হারুন অর রশীদ হার্টের রোগী ছিলেন। তিনি কারাগারে আসার আগেই দুইবার স্টোক করেছিলেন। আজ বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে তিনি কারা হেফাজতে স্টোক করলে তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছে।

ইতোমধ্যে তার অভিভাবেকদের খবর দেয়ার পর তারা হাসপাতালে এসেছেন। সুতরহাল শেষে লাশ পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে তবে কাল সকালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।

তিনি জানান, হারুন দুটি মামলার সাজাপ্রাপ্ত কয়দি ছিলেন। একটি মামলায় (ধারা-২০৪/৩৪) তার ১০ কারাদন্ড অন্য মামলায় (৩২৩ ধারা) ৬মাস জেল এবং এক লাখ টাকা জরিমানার রায় হয়। ৫ নভেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে তিনি কারাগারে আসেন।

এদিকে নিহত হারুনুর রশীদের নিকট আত্মীয় পিয়ার মাহমুদ চৌধুরী পাঠক ডট নিউজকে জানান, রাউজানের আধাঁরমানিক গ্রামের একটি মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী ছিলেন হারুন অর রশীদ। পারিবারি বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনায় নূরুল আমিন প্রকাশ নূরুল আলম নামে এক ব্যাক্তি মারা গেলে এ মামলায় আসামী করা হয় হারুনুর রশীদসহ কয়েকজনকে।

তিনি অভিযোগ করেন- হারুন অর রশীদ হার্টের রোগী ছিলেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তার যথাযত চিকিৎসা করেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য ঔষধ নিয়ে গেলেও কারা কর্তৃপক্ষ সে ঔষধ তার কাছে দিতে দেয়নি।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, কারাগারে সব ধরণের ঔষধ রয়েছে। বাইর থেকে কোন ঔষধ নেয়ার নিয়ম নেই। তারপরও যদি কোন ঔষধ পাওয়া না যায় তখন স্বজনদের কাছ থেকে নেয়া হয়।

এদিকে হত্যা মামলা রায় থেকে জানাগেছে-২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দোস্ত মোহাম্মদের বাড়িতে প্রতিপক্ষরা নুরুল আমিনের জায়গা জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার লক্ষ্যে পায়খানা নির্মাণকাজ শুরু করে। এতে বাধা দিলে তারা লোহার রড, গাছের লাঠি, কুড়ালসহ অস্ত্র দিয়ে নুরুল আমিনের মাথায় প্রচণ্ড আঘাত করলে তিনি মারা যান। ঘটনার সময় নুরুল আমিনের স্ত্রী মতিজা বেগম, সাক্ষীসহ আরো ছয়জন আহত হন। স্বামী হত্যা ও নিজের ওপর হামলার ঘটনায় মতিজা বেগম ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাউজান থানায় সুনির্দিষ্ট সাতজনকে ও আরো অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।

গত বছরের ৬ নভেম্বর এ মামলার রায়ে চট্টগ্রামের একটি আদালত হারুন অর রশীদ সহ ছয়জনকে ১০ বছর ছয় মাস করে কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং বাকি তিনজনকে বেকসুর খালাস দেয়। রায়ের পর হারুন অর রশীদসহ অন্যান্য আসামীদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print