ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চসিক নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণ বিধি তদারকিতে কাজ করছে ১৪টি ভ্রাম্যমান আদালত

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি তদারকি করতে এবার আগে ভাগেই মাঠে নেমেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৪টি টিম সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন।

এছাড়া প্রতিপক্ষের কোনো হুমকি রয়েছে কি না তাও নজরদারি করছেন তারা।

তবে আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা শুরুর আগেই ইতোমধ্যে একটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত ও হুমকির ঘটনায় মামলা হয়েছে। অন্য এক কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে ওরসের নামে নির্বাচনী মেজবান দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে খাওয়নোর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু মাঠে তদারকিতে থাকা ভ্রাম্যমান আদালত এখনো পর্যন্ত কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হলেও আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হতে আরো ৩ দিন বাকি। অধিকাংশ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। ফলে রয়েছে উত্তেজনা। তাই নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত রাখতে মাঠে ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৪১টি ওয়ার্ড থাকলেও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।

অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মুনীর হোসাইন খান জানান, প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী আচরণ বিধি রয়েছে। এর বাইরে গেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষয়টি দেখবেন।

প্রথম পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতীক বরাদ্দের আগেই বিভিন্ন স্থানে লাগানো প্রার্থীদের শুভেচ্ছামূলক পোস্টার-ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ করছেন। একই সঙ্গে অন্যান্য আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাও তদন্ত করছেন নির্বাহী মাজিস্ট্রেটরা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের একে-অপরের প্রতি হুমকি-ধামকিও তদারকি করছেন তারা।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ সিকদার বলেন, কেউ কাউকে হুমকিধামকি দিচ্ছে কিনা সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলেই সেটিকে আমলে নিয়ে তদন্ত করছি।

তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে জেলা প্রশাসনের অধীন হওয়ায় স্বাধীনভাবে কাজ করা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে সুশীল সমাজের।

টিআইবির কেন্দ্রীয় পর্ষদ ট্রাস্টি সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের সময় ইসির অধীনে কাজ করে। নির্বাচনের পরেই আবার সরকারের অধীনে চলে যেতে হয়। এই বিষয়টা চিন্তা করলেই যেটি দাঁড়ায় সেটি হলো এদের দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করানো যায় তা আমি মনে করি না।

নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানাগেছে, চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৯ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৮ জন নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এরমধ্যে ২৮শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. নুরুল আমিনের সর্মথকদের সঙ্গে বর্তমান কাউন্সিলর ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের আহমদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এরপর ১লা মার্চ পাঠানটুলী এলাকার দক্ষিণ ঢেবার পাড় এলাকায় ওরশের নামে নির্বাচনী মেজবান দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ২৮ নম্বর দক্ষিণ পাঠানটুলী ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর। মেজবানে তিনি ৪টি গরু জবাই করে ভূরিভোজ করান। এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙে মসজিদে মুসল্লিদের কাছে ভোট চেয়ে সমালোচিত হন এই কাউন্সিলর প্রার্থী।

এছাড়া মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের শুভেচ্ছা-স্বাগতম জানিয়ে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের অলি-গলিতে টাঙানো পোস্টার-ব্যানারও সরানো হয়নি। যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। এই আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামানো হয়েছে ১৪ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।

চসিক নির্বাচনের অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মুনীর হোসাইন খান জানান, প্রথম পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতীক বরাদ্দের আগেই বিভিন্ন স্থানে লাগানো প্রার্থীদের শুভেচ্ছামূলক পোস্টার-ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ করছেন। একই সঙ্গে অন্যান্য আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাও তদন্ত করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের একে-অপরের প্রতি হুমকি-ধামকিও তদারকি করছেন তারা।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, এবারের চসিক নির্বাচনে ৪১ ওয়ার্ডের অধিকাংশ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। ফলে উত্তেজনাও রয়েছে। তাই নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত রাখতে মাঠে কাজ করছে ১৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।

উল্লেখ্য ইসির ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী চসিক নির্বাচনে ৮ই মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৯ই মার্চ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ২৯শে মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print