ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে সাড়ে ৪ লাখ মানুষের জন্য ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ২৪২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

gurni-procherঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাত হানার আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকার নিরাপদ আশ্রয় দিতে চট্টগ্রাম জেলায় ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রামে ২৪২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে জেলার উপকূলীয় বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দুর্র্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এই সভায় জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

13220651_1181541805198285_7066582261954544227_oপ্রবল বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা আছে এমন এলাকায় মাইকিং করে সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রেরণ করা হচ্ছে।

এ লক্ষ্যে সরকারি, বেসরকারি, এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লক্ষাধিক কর্মী দুর্যোগের প্রস্তুতিকালীন থেকে দুর্যোগোত্তর সেবা দিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা, চরাঞ্চল থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং, পতাকা ওড়ানো ও উদ্বুদ্ধ করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কিছু কিছু এলাকা থেকে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেছে।

জেলা প্রশাসক আরো জানান, ৪৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব হবে। তাদের জন্য শুকনো খাবার (চিড়া-গুঁড়), প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স, মোমবাতি, ম্যাচ মজুদ রাখা হয়েছে। উপজেলা অফিস থেকে এসব বিতরণ শুরু হবে দ্রুত সময়ের মধ্যে। পাশাপাশি উপজেলার সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত চট্টগ্রামের সকল সরকারি ও আধা-সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সব রকমের ছুটি বাতিল করা হয়।

সভায় অংশ নিয়ে নিজেদের সব ধরনের প্রস্তুতি কথা জানান ফায়ার সার্ভিস, আনসার ভিডিপি, রেড ক্রিসেন্ট, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বিদ্যুৎ, পরিবেশ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও। অন্যদিকে জেলার উপকূলবর্তী উপজেলা সমূহে জেলা প্রশাসন ও নগরীর উপকূলবর্তী ওয়ার্ড সমূহে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং শুরু করেছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print