ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ভারতীয় উপমহাদেশের কালজয়ী নাম

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে ১০ মিনিট

10698523_279514548912634_7798702059859307362_n
সোহেল মো. ফখরুদ-দীন।
65341_184
মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী।

সমাজ, দেশ ও নাগরিক নন্দিত মনীষী মাওলানা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী। তাঁর মৃত্যুর ৬৬ বছর পর হলেও দেশ ও সমাজের কাছে আজও প্রিয়, শ্রদ্ধার ও জনপ্রিয় মানুষ। কর্মগুণে তিনি উদ্ভাসিত মনীষী। সমাজসেবা, শিক্ষা, চিকিৎসা, অনাথ এতিমের লালন পালন, রাজনীতি, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা, ধর্মপ্রচার সর্বক্ষেত্রে এই মনীষীর অবদান স্মরণযোগ্য। মানবতার জয়গান ও ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই কর্মবীরের অবদান এ জাতি কখনো ভুলতে পারবে না। জীবন ইতিহাসে মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী একটি প্রতিষ্ঠানরূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তাঁর চিন্তা চেতনা ছিল অসাম্প্রদায়িক। মানুষ আর মানবতার উন্নয়নে তিনি নিবেদিত ছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তিনি সর্ব ভারতীয় বিখ্যাত স্বাধীনতাকামী মহাত্মা গান্ধী, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা শওকত আলী, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত নেতাদের সাথে কাজ করেছেন। অনেকবার ব্রিটিশ সৈন্যের রোষানলের স্বীকার হয়েছেন। মাসের পর মাস ও বছরের পর বছর অন্ধ কারাগারে কাটিয়েছেন। নির্যাতনে স্বীকার হয়েছেন। বৃদ্ধ বয়সেও জেল-জুলুম থেকে রক্ষা পাননি এই বর্ষীয়ান নেতা। বাঙালির বিখ্যাত রাজনৈতিক, সাংবাদিক ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী মাওলানা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর জন্ম বিপ্লবীদের চারণভূমি খ্যাত চট্টগ্রাম জেলার বর্তমান চন্দনাইশ বরমা ইউনিয়নের আড়ালিয়ার চর গ্রামে। ভারতবর্ষের ইতিহাসে যে কারণে চট্টগ্রামকে বিপ্লবী তীর্থ বলা হয় সে অগ্নিযুগের বিপ্লবীরা হলেন-হাবিলদার রজব আলী, বিপ্লবী মাষ্টারদা সূর্যসেন, বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়ার্দাদার, বিপ্লবী মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, শেখ-এ-চাটগাঁম কাজেম আলী মাষ্টার, যাত্রামোহন সেন, যতীন্দ্রমোহন সেন, মাওলানা আবদুল হামিদ ফখরে বাংলা, বিপ্লবী মহেশ চন্দ্র বড়ুয়া, বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী প্রমুখ ব্যক্তিরা।

তাঁদের জন্মগত কারণে চট্টগ্রামবাসী আজ বিশ্ব দরবারে সম্মানশীন ও মর্যাদাকর অবস্থানে। সেই অগ্নিযুগের বিপ্লবী মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর ৬৬ তম মৃত্যু দিবস ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ইংরেজিতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। যিনি আজীবন সংগ্রামী ও বিপ্লবী মানুষের প্রতিকৃত হয়ে বেঁচে থাকবেন। যিনি ভারতের লালকেল্লায় বন্দি অবস্থায় বৃদ্ধ বয়সে মরণ পানে রাজি ছিলেন তবুও আর্দশচ্যুত হননি। আজীবন সংগ্রামী এ মানুটি ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২২ আগস্ট চন্দনাইশ থানার বরমা ইউনিয়নের আড়ালিয়ার চর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম পণ্ডিত মুনশি মতিউল্লাহ। তিনি স্বগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে উচ্চ শিক্ষা লাভের আশায় ভারতের হুগলী সিনিয়র মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি সেখান থেকে মাদ্রাসার শেষ পরীক্ষা পাশ করেন। অতঃপর তিনি মোল্লাগিরিতে না গিয়ে স্বাধীন জীবিকার উদ্দেশ্যে মোক্তারশিপ পরীক্ষা দেয়ার জন্য তৈরি হতে থাকেন। হঠাৎ মন পরিবর্তন করে তিনি রংপুর জেলার হাড়াগাছিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের পদ গ্রহণ করেন। পরে তিনি সীতাকুন্ড সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হয়ে চলে আসেন চট্টগ্রামে। তিনি সীতাকুন্ড হাইস্কুলের পাকা ভবন নির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। ঐ সময় তিনি মিসরের আল-মিনার, আল-বিলাদ পত্রিকায় আরবি ভাষায় প্রবন্ধ লিখতেন এবং ভারতের দিল্লী, লক্ষৌ প্রভৃতি স্থানের উর্দু পত্রিকায় উর্দু ভাষায় প্রবন্ধ লিখতেন নিয়মিতভাবে। অতঃপর তিনি সাংবাদিকতা পেশা গ্রহণের উদ্দেশ্যে শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে কলকাতা গমন করেন এবং রাজশাহীর জমিদার মির্জা ইউসুফ আলীর পরিচালনায় প্রকাশিত সাপ্তাহিক সুলতানের সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯০৬ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সমর্থনে, ১৯০৮ সালে ত্রিপলী যুদ্ধ ও ১৯১২ সালে বলকান যুদ্ধে তুরস্কের সমর্থনে সমগ্র বাংলাব্যাপী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন। তিনি বাঙালি মুসলমানের পুনর্জাগরণ ও প্রাচীন ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে ১৯১৪ সালে কলিকাতা থেকে মাসিক সাহিত্য পত্রিকা আল এসলাম প্রকাশনা ও সম্পাদনা করে সে যুগের প্রতিষ্ঠাবান মুসলমান লেখকগোষ্ঠী গঠনে সহায়তা করেছিলেন। তিনি বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ঐ সময় তিনি ইতিহাস গবেষণায় লিপ্ত হয়ে বহু গ্রন্থ রচনা ও প্রকাশ করেন। ১৯২৬ সালে কলিকাতায় দাঙ্গার সময় কলিকাতা প্রবাসী চট্টগ্রামের মুসলমান ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে দৈনিক সুলতান পত্রিকা প্রকাশ করে মওলানা ইসলামাবাদীকে সম্পাদক করেন। সেই দুর্যোগের সময় তিনি দৈনিক সুলতানের মাধ্যমে মসিযুদ্ধ চালিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে পত্রিকার পরিচালনা কমিটির কর্তাব্যক্তি চট্টগ্রামবাসী জনৈক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার হঠকারিতায় মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী দৈনিক সুলতানের পদ পরিত্যাগে বাধ্য হন। তখন তিনি দৈনিক আমির পত্রিকা প্রকাশ করেন।

কিন্তু অল্পদিনের মধ্যে অর্থাভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়, আর সুযোগ্য সম্পাদকের অভাবে দৈনিক সুলতান-এর ভরাডুবি হয়। মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী কিছুকাল কলিকাতায় দৈনিক হাবলুল মতিন এর বাংলা সংস্করণ সম্পাদনা করেন। তিনি চট্টগ্রাম থেকে সাপ্তাহিক ইসলামাবাদ নামেও একখানি পত্রিকা পরিচালনা করেছিলেন। মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ওই শতকের প্রথমে রাজনীতিতে যোগদান করেন। তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস, খেলাফত কমিটি, নিখিল বঙ্গীয় কৃষক প্রজা পার্টির সভাপতি, জমিয়ত-এ ওলামায়ে হিন্দের বাংলা-আসাম শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। দেশপ্রিয় যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্তের তিনি ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ছিলেন। তিনি ১৯৩৭ সালে চট্টগ্রাম সদর দক্ষিণ মহকুমা (বোয়ালখালী, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও কক্সবাজার পর্যন্ত এলাকার) থেকে প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৩০ সালে তিনি চট্টগ্রামের কদমমোবারক মুসলিম এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ঐ সময়ে তিনি কংগ্রেসের অহিংস নীতির প্রতি আস্থা হারান এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি সমর্থন দান করে ফরোয়ার্ড ব্লকে যোগদান করেন। তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালে ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনে যোগদান ও আজাদ হিন্দ ফৌজের কার্যক্রমের প্রতি সক্রিয়ভাবে সমর্থন করা। সে সময় তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজকে কার্যক্রমের প্রতি সক্রিয়ভাবে সমর্থন করা। সে সময় তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিপ্লবী কেন্দ্র স্থাপন করেন।

নেতাজী যখন আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দখল করে ভারতের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উড়িয়ে ‘দিল্লী চলো’ শ্লোগান তুলে এগিয়ে চলছিলেন ভারতের দিকে ঐ সময় মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর সাথে পরিচয় ঘটে বেংগল ভলান্টিয়ার্স এর সুবোধ চক্রবর্তীর। সুবোধের সাথে আলাপ করে মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী এত বেশি মুগ্ধ হন যে শেষ বয়সে একটা ঝুঁকি নেবার জন্য রাজি হয়ে পড়েছিলেন। সুবোধকে সঙ্গে নিয়ে তিনি চলে আসেন চট্টগ্রামের দেয়াং পাহাড়ে। চট্টগ্রামের পাহাড়-পর্বত ডিঙ্গিয়ে আরাকানের পথ ধরে আবারো নেতাজীর সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার লক্ষ্যে যখন পথ চলছিলেন তখন সীমান্ত এলাকায় ছিল সতর্ক পাহারা। আজাদ হিন্দ ফৌজ দখলে থাকার কারণে সতর্কতা যেন সীমাহীন হয়ে পড়েছিল। মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী বীরকণ্ঠে তার সহচরকে বলছিলেন, “আমার জীবনের মাত্র কয়েকদিন বাকি, এই চরম ঝুঁকি নিতে আমার অসুবিধেও নেই।” তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ঝুঁকি নিলেনÑ শ্যালক মোর্শেদকে নিয়ে একেবারে ফকির সেজে নেতাজীর সাথে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন। ব্রিটিশ গুপ্তচরেরা তখন মওলানার সমস্ত বিপ্লবী কার্য টের পায়। সে কারণে তার শহরস্থ বাড়ি, তৎকালীন পটিয়ার (বর্তমান চন্দনাইশ) বাড়ি, সীতাকুন্ডের বাড়ি, কলকাতার বাসভবনে ইংরেজ সার্জেন্টের নেতৃত্বে বিপুল সৈন্যের মাধ্যমে তল্লাশি চালানো হয়।

ঐ সময় মওলানাকে চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্রিটিশ সরকার মহাত্মা গান্ধী, পণ্ডিত জহরলাল নেহরু প্রভৃতি নেতার সাথে মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীকেও দিল্লীর লালকিল্লায় বন্দী করে রাখেন। অতঃপর তাঁকে সেখান থেকে পাঞ্জাবের ময়াওয়ালী জেলে স্থানান্তর করেন। সেখানকার জেলের ছাদের বিমের সঙ্গে রজ্জু দিয়ে ৬৫ বছর বয়স্ক মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর দু’পা বেঁধে মাথা নিচের দিকে ঝুলিয়ে রেখে তাঁর উপর অশেষ নির্যাতন চালানো হয়েছিল গোপন তথ্য জানার জন্য। কিন্তু বৃদ্ধ বিপ্লবী মওলানা মনিরজ্জামান ইসলামাবাদী অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করে গেছেন তবু আদর্শচ্যুত হননি। মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী একজন দুরদর্শী রাজনীতিজ্ঞ ছিলেন, ছিলেন সাহিত্য-সাংবাদিক, লেখক-গবেষক। তিনি পাকিস্তান আন্দোলন যুগে কলিকাতার নবযুগ ও আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত পাকিস্তানের অসারতা প্রতিপন্নমূলক বহু প্রবন্ধে যে সব ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ৭১‘ সালে তার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশের, স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষপর্বে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে ভারত বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী নিজ মাতৃভূমি পূর্ববঙ্গে না এসে কলিকাতায় থেকে যান। সেখানে বছর দুয়েক অবস্থান করার পর তিনি রোগাক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে যান।

ভক্ত বন্ধুবান্ধবের পীড়াপীড়িতে তিনি দেশে ফিরতে সম্মত হওয়ার পর মৃত্যুর কয়েকমাস আগে তাঁকে চট্টগ্রামে আনা হয়। মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী রচিত, প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত গ্রন্থাবলির একটি তালিকা ইসলামাবাদী গবেষক সাংবাদিক ছৈয়দ মোস্তফা জামালের গ্রন্থে তথ্য মিলে। তালিকা টি নিম্ম রুপ- (১) ভারতের মুসলমান সভ্যতা (২) ভূগোল শাস্ত্রে মুসলমান (৩) খগোল শাস্ত্রে মুসলমান (৪) তুরস্কের সুলতান (৫) নিজমদ্দিন আউলিয়া (৬) কনস্টান্টিনোপল ও মুসলমান জগতের অভ্যুত্থান (৭) ভারতে ইসলাম প্রচার (৮) আওরঙ্গজেব (৯) কোরান ও রাজনীতির বাণী (১০) কোরান ও স্বাধীনতার বাণী (১১) কোরান ও বিজ্ঞান (১২) ইসলামের শিক্ষা (১৩) বাংলার ওলি কাহিনি (১৪) আসাম ভ্রমণ (১৫) ভারতের মুক্তিসংগ্রামে মুসলমান (১৬) ইসলামের পুণ্য কথা (১৭) আবে হায়াত (১৮) সমাজ সংস্কার (১৯) সুদ সমস্যা (২০) নিু শিক্ষা ও শিক্ষা কর (২১) আত্মজীবনী। তাছাড়া তাঁর অজস্র প্রবন্ধ উভয় বাংলায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিয়মিত ভাবে প্রকাশিত হত।

চট্টগ্রামের এ ক্ষনজম্ম, বিপ্লবী মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ৭৫ বছর বয়সে ১৯৫০ সালের ২৪ অক্টোবর চন্দনাইশের বরমার তাঁর নিজ বাড়িতে পরলোকগমন করেন। ইসলামাবাদীর শেষ ইচ্ছা অনুসারে চট্টগ্রাম শহরস্থ কদমমোবারক নবাব এয়াসিন খাঁর মসজিদ সংলগ্ন ও তাঁরই প্রতিষ্টিত কদম মোবারক মুসলিম এতিম খানার সামনে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। মৃত্যুর চারদিন পর চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘির ময়দানে মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর নাগরিক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী হাবিবুল্লাহ ও সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কৃষক নেতা মির্জা আলী। ওই সভায় ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী উপস্থিত থেকে তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। ইসলামাবাদীর সমাধির গায়ে লিখা আছে তাঁর একটি ফার্সি কবিতার বাংলা অনুবাদ যা নিন্মরূপ:
“ পথিক: ক্ষণেকের তরে বস মোর শিরে
ফাতেহা পড়িয়া যাও নিজ নিজ ঘরে
যে জন আসিবে মোর সমাধির পাশে
ফাতেহা পড়ে যাবে মম মুক্তির আশে।
অধম মনিরুজ্জামান নাম আমার
এসলামাবাদী বলে সর্বত্র প্রচার। ”

লেখক: সোহেল মো. ফখরুদ-দীন, ইতিহাস গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মী,

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print