ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

করোনা সন্দেহে চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তার ধারে সারাদিন পড়ে থেকে মারা গেলেন দিনমজুর

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ফরিদপুরের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাস্তার ধারে সারাটি দিন কাতরানো পরেও করোনা সন্দেহে তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউ। খবর পেয়ে প্রশাসনের লোকেরা দীর্ঘসময় পর তাকে উদ্ধার করে গভীর রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তবে তার আগেই তার মৃত্যু হয়।

মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায়। আর নিহত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুস সামাদ মন্ডল (৪৮)। তার বাড়ি যশোরের খাজুরা এলাকায় বলে জানা গেছে।

আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে রিপোর্ট লেখার সময় আব্দুস সামাদের লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখা ছিলো। তার দাফনের জন্য এখনো কোনো স্বজনের সন্ধান মিলেনি।

মধুখালী উপজেলার কামারখালী বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জানান, আব্দুস সামাদ মন্ডল কামারখালীতে এসেছিলেন দিনমুজুরের কাজ করতে। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি একটি ভ্যানযোগে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। তবে পথিমধ্যে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের মাঝিবাড়িতে একটি জুট মিলের সামনে তাকে রাস্তার পাশে একটি গর্তের ধারে ফেলে রেখে যায় ওই ভ্যানচালক।

এভাবে সারাদিন ওই গর্তের ধারেই পরে ছিলো মুমূর্ষু আব্দুস সামাদ। ওই পথ দিয়ে অনেকেই যাতায়াত করলেও কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি করোনা আক্রান্ত সন্দেহে। খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে সেখান যান মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ।

মধুখালী থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, লোকটি ভ্যানযোগে হাসপাতালে আসার পথে তাকে করোনা রোগী সন্দেহে পথে ফেলে যায় ভ্যানচালক। এরপর সে একটি গর্তেই পরে ছিলো। দীর্ঘ সময় এভাবে পরে থাকার পর রাত ৯টার দিকে আমরা ওই রোগীকে ফরিদপুর থেকে আসা বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সযোগে ফমেক হাসপাতালে পাঠাই।

মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা মানোয়ার জানা, অসুস্থ ওই ব্যক্তি জ¦রে আক্রান্ত ছিলেন বলে তাকে ফমেক হাসপাতালে নেয়ার জন্য একটি অ্যাম্বেুলেন্স চেয়ে পাঠাই। তবে ফরিদপুর থেকে ওই অ্যাম্বুলেন্স আসতে অনেক রাত হয়ে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: রেজা বলেন, জ্বরে আক্রান্ত আব্দুস সামাদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সে নেয়ার সুযোগ ছিলো না সতর্কতার কারণে। তাহলে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ১৪ দিন সাধারণ রোগী বহন করতে পারতো না।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: মো: জুয়েল জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা করে তাকে মৃত পাই।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা: ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ওই রোগীটি গর্তেই পরে ছিলো। কিন্তু কেউই করোনা সন্দেহে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি বলে জেনেছি। সেখানেই তিনি মারা যায় বলে জেনেছি। এব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু জানেন না বলে জানান।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: সাইফুর রহমান জানান, রাতেই আমরা ওই মৃত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করি। আজ সকালে এসব নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print