চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে এক চিকিৎসক সুস্থ হয়ে উঠলেও আক্রান্ত হয়েছেন করোনার সাথে লড়ছেন আরেক তরুণ চিকিৎসক।
আজ বুধবার (২২ এপ্রিল) রাতে এ নতুনভাবে আরো একজন চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান জেলা সিভিল সার্জন অফিস। একই সাথে গত ২৪ ঘন্টায় এই চিকিৎসকসহ চট্টগ্রামে ৩ জন ও লক্ষ্মীপুরে একজন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়।
আক্রান্ত এ চিকিৎসকের নাম ডাক্তার আব্দুল বাসেত হাসান (২৯)। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধিনে নাজিরহাট হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে কাজ করেন। তিনি নাজিরহাট মেডিকেল এর পাসে একটি বাসা ভাড়াই থাকেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইলিয়াছ চৌধুরী। তবে আক্রান্ত চিকিৎসক আব্দুল বাসেত হাসানের গ্রামের বাড়ী জেলার সাতকানিয়া উপজেলায়।
ইতোমধ্যে সাতকানিয়াতে করোনার হটজোন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। উপজেলার পশ্চিম ঢেমশার ইছামতি আলী নগর এলাকায় ইতোপূর্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর পর আরও ৯ জনের শরীরে করোনার পজেটিভ এসেছে। এর পর থেকে সাতানিয়ায় প্রথমে ৫ শতাধিক বাড়ী এবং পরে পুরো সাতকানিয়া লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
ধারণা করা হচ্ছে ফটিকছড়ির এ চিকিৎসক তার নিজ গ্রাম সাতকানিয়া থেকে করোনা সংক্রামনে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে এর আগে আরো এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন অনেকটা সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। তিনি হলেন জেলার বাঁশখালীর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আসিফুল হক। গত ১৪ এপ্রিল এই চিকিৎসকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ওই দিন রাত থেকেই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন। গত ২০এপ্রিল ফৌজদারহাটের বিশেষায়িত হাসপাতাল ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ল্যাবে দ্বিতীয় দফা টেস্টে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই সহকারী সার্জনের করোনা ফলাফল নেগেটিভ এসেছে বলে জানান তিনি। একই সাথে তার পরিবারের ছয় সদস্যের রেজাল্টও নেগেটিভ এসেছে।
তিনি বলেন- ৭ এপ্রিল একজন প্রবাসীর স্বজন চিকিৎসাসেবা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলেন। আমার সন্দেহ, উনার কাছ থেকে আমি আক্রান্ত হয়েছি। এরপর থেকেই নিজে থেকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলছি। পরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য এবং ১৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের অন্য ১০ জনের সাথে আমারও করোনা পজিটিভ আসে। চিকিৎসার পর এখন আমি ভালো আছি, আল্লাহ চাইলে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবো।
