
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সাইনবোর্ড, প্যাড, ভিজিটিং কার্ডসহ চেম্বারে লাগানো কাগজপত্র অভিজ্ঞতায় তিনি লিখে রেখেছেন তিনি এমসবিবিএস পাস করা চিকিৎসক।
চিকিৎসা সেবায় তিনি নাকি স্বর্ণ পদকও পেয়েছেন। অথচ বাস্তবে তিনি এমবিবিএস করেন নি।
এমন ভুয়া পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে চিকিৎসা সেবার নামে শত শত মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সোলায়মান। তার বাসায় দুই বেডের একটি মিনি ক্লিনিকও বানিয়েছেন।
অবশেষে ধরা খেলেন ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে। ভুয়া ডিগ্রিধারীর এমন চিকিৎসার খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার মেখল রোডের নাছরিন ভবনে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে সহায়তাকারী হিসেবে ছিলেন হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ ইমতিয়াজ।
এসময় আটক করা হয় এই ভুয়া এমবিবিএস ডিগ্রিধারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সোলায়মানকে। পরে বয়স বিবেচনায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান এ কথিত চিকিৎসক।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ইউএনও রুহুল আমিন পাঠক ডট নিউজকে বলেন, ডাক্তার সাহেবের চেম্বারের সামনে লাগানো কাগজে অনেক ডিগ্রী,অভিজ্ঞতা পেয়েছেন স্বর্নপদকও। ডিগ্রির জায়গায় লেখা এমবিবিএস (ঢাকা)।
ভ্রাম্যমাণ আদালত কে সহায়তাকারী হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ ইমতিয়াজ জিজ্ঞেস করলেন ঢাকার কোথা থেকে এমবিবিএস করেছেন? উনি বললেন, এমবিবিএস করি নাই।তাহলে লিখলেন যে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন- ভুলে লিখেছি। বাসায় দুই বেডের ক্লিনিক বানাইছেন কেন? জানতে চা্রাইলে বলে নিজেরাই (রোগি) এসে ভর্তি হইছে,আমি জানিনা কিছু।
এত এত ডিগ্রি লেখা এসবের কাগজ দেখান উনি তাও দেখাতে পারেন নাই। যখন শক্তভাবে তাকে বলা হলো তখন উনি বিরক্ত হয়ে বললেন, যান এখন থেকে হোমিওপ্যাথি প্রাকটিস করবো।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ডাক্তারের চেম্বার এবং ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় এবং তার থেকে অঙিকার নেয়া হয় ।করোনা পরিস্থিতি এবং বয়স বিবেচনায় তাকে কোনো সাজা দেয়া হয়নি বলে উল্লেখ করেন ইউএনও রুহুল আমিন।