
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সাধারন ছুটির পর থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চালকরা বিপাকে পড়েছে। তারা সবাই কর্মজীবী। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা সংকটে পড়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীকে পুঁজি করে সরকার সাধারন মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। পরিবহণ শ্রমিকসহ সাধারন মানুষের মনে সুখ নেই,তারা অর্থ কষ্টে দিন পার করছে। সেই সাথে বেড়েছে মৃত্যু আতঙ্ক। এখন নতুন করে মার্কেট, শপিংমল, কারখানা খুলে মানুষকে আরো ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
তিনি আজ ৮ মে শুক্রবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয়তাবাদী সড়ক পরিবহন শ্রমিকদলের অসহায় চালকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরনকালে এ কথা বলেন।
শাহাদাত বলেন-সরকার জনগণের মাঝে খাদ্য সামগ্রীসহ ত্রাণ সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য জনজীবন স্বাভাবিক করছে। এতে করে সরকার মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি অসহায় মানুষের সাহায্যে বিত্তশালী ধনি ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ডাঃ শাহাদাত আরও বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীও দোকান পাট, শপিংমল খুললে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা করোনা মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন হওয়ার কথা বলছে। অথচ সরকার দোকানও খুলবে, আবার জনগণকে সচেতন হতেও বলবে। এ থেকে বোঝা যায় তাদের ভিতরে কোন সমন্বয় নেই। এসি রুমে নিজেদেরকে নিরাপদে রেখে তাদের যেমন খুশি তেমন কথা বলে জনগণকে বিপদের মুখে ফেলছে।
এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার প্রতিদিন আত্বঘাতী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যে মহুর্তে কঠোর হওয়ার কথা সে সময় সরকার নমনীয় হচ্ছে। এখন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাই করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশের নাগরিকদের সাথে ভারসাম্যহীন আচরণ শুরু করেছে। করোনা দূর্যোগের শুরু থেকে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে অসহায় মানুষদের পাশে দাড়াচ্ছে। তিনি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শপিংমল, কারখানাসহ দোকানপাট আরো কিছুদিন বন্ধ রাখার জোর দাবি জানান।
আবু সুফিয়ান বলেন, শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাদের নিরাপদ রাখলে দেশ নিরাপদ থাকবে। অথচ সরকার এ শ্রমিকদের জীবন জীবিকাকে কঠিন করে তুলেছে। শ্রমিকরা এখন সময়মতো বেতন পাচ্ছে না, অনেক কারখানায় শ্রমিকদের ছাটাইও করা হচ্ছে। আওয়ামীলীগের কাছ থেকে জাতি ভাল কিছু আশা করে না।
খাদ্যসামগ্রী বিতরনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সড়ক পরিবহণ শ্রমিকদলের রাজেন হোসেন সম্রাট, মোঃ মানিক মিয়া, মোঃ রফিক, আবদুস সামাদ, নুর মোহাম্মদ প্রমূখ।