ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কক্সবাজার  হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করছে আইওএম

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

২০২০ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পরপরই চাহিদা বাড়ার কারণে হাত জীবাণুনাশক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যগত পণ্য দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠে। এর ফলে বিশ্বের অন্যতম বড় শরণার্থী শিবিরের শহর কক্সবাজারের স্থানীয় বাজারগুলোতে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়।

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত স্বাস্থ্যগত পণ্যের কার্যকারিতা নির্ধারণের জন্য বাজারের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার পর কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সাথে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম-জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের নির্দেশিকা মেনে স্থানীয়ভাবে হাত জীবাণুনাশক (হ্যান্ড স্যানিটাইজার) উৎপাদন করার সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করে।

এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাছ থেকে প্রায় ২০,০০০ লিটার হাত জীবাণুনাশক উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহ ও পরিবহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়। আইওএম এবং এর সহযোগী সংস্থা প্রত্যাশী ও গ্রীন হোপ ২০০মিলিলিটারের প্রায় ১,০০,০০০ বোতল হাত জীবাণুনাশক উৎপাদন করবে। উৎপাদিত হাত জীবাণুনাশক স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ জনস্বার্থে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর ৫০,০০০ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেনঃ “কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং আইওএম-এর সমন্বিতভাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলা কার্যক্রমে এই যৌথ প্রচেষ্টা অন্যতম। স্থানীয়ভাবে হাত জীবাণুনাশক উৎপাদনের মাধ্যমে জেলার জনগোষ্ঠিদের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ রোধ হবে এবং আমাদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো আরো উন্নত হবে।“

.

উৎপাদন কাজের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং আইওএম ও এর সহযোগী সংস্থাদের মাধ্যমে পেশাদার ফার্মাসিস্টরা তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। নিয়োগকৃত অধিকাংশই কোভিড-১৯ এ লকডাউনের কারণে তাদের নিয়মিত জীবিকা ব্যবস্থা ব্যাহত হয় এবং তারা আর্থিকভাবে তারা চরম দুর্দশার মধ্যে ছিলেন। এই উৎপাদন কাজের মাধ্যমে তাদের আয়ের পথ আবার উন্মোচন হল। আইওএম-এর স্বাস্থ্য বিভাগ এই উৎপাদন কাজের মান নিয়ন্ত্রণ, পরীক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে মনিটরিং করছে।

এই কার্যক্রমে নিয়োজিত উখিয়ার তাসলিমা আক্তার বলেনঃ “এই প্রথম আমি এ ধরণের প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পেলাম। এটা আমার প্রথম চাকরিও। তাই আমি খুব খুশি এবং লকডাউন পরিস্থিতে আমি আমার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারব বলে এখন নিশ্চিন্ত আছি।“

আইওএম কক্সবাজার কার্যালয়ের ট্রানজিশন এন্ড রিকভারি ডিভিশনের প্রধান প্যাট্রিক শেরিগনন বলেনঃ “কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং আইওএম-এর সমন্বিত এই প্রকল্পটি কোভিড-১৯ মোকাবেলা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখবে। স্থানীয়ভাবে হাত জীবাণুনাশক উৎপাদনের মাধ্যমে জেলার জনগোষ্ঠিদের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ রোধ হবে এবং আমাদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো আরো উন্নত হবে। নিয়মিতভাবে মাস্ক পরিধান করা, হাত ধোয়া এবং শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি আমাদের স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ জনস্বার্থে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর সদস্যদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ঠেকানোই হাত জীবাণুনাশক উৎপাদনের উদ্দেশ্য।“

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print