
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার (হাটহাজারী মাদরাসা) মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে উনার জ্ঞান ফিরে আসে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আল্লামা শফীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চমেকের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। সেদিন রাত আটটার দিকে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাঁকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়।
চমেক হাসপাতাল থেকে দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আল্লামা শফির জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি প্রথমে চিকিৎসক, নার্সদের জন্য দোয়া করেন। তাদেরকেও তিনি তার জন্য দোয়া করতে বলেন।
এর আগে আল্লামা আহমদ শফির দীর্ঘক্ষন যাবৎ জ্ঞান ফিরে না আসায় উনার চিকিৎসার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুরের সাড়ে বারটার দিকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান রঞ্জন কুমার নাথ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান সুজত পালের নেতৃত্বে এই মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠকে বসে আহমদ শফির চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে। তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগলেও এখন সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
১০৪ বছর বয়সী এই প্রবীন আলেম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট এবং হজমজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁকে রাইস টিউব (নাকে নল) দিয়ে শুধু তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। অসুস্থতার কারণে তিনি অনেকদিন যাবত ভালোভাবে কথাবার্তা বলতে পারেন না, হাঁটাচলাও করতে পারেন না।