ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

এই দুর্যোগের সময়েও দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে স্বাস্থ্য বিভাগ: ফখরুল

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

দেশের এই করোনা মহামারিতে সবচেয়ে ফ্রন্টলাইনে কাজ করার কথা ছিল স্বাস্থ্য বিভাগের। কিন্তু দেশের এই মহামারির সময়েও স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ রোববার নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় জাতীয়তাবাদী হোমিওপ্যাথি দলের উদ্যোগে ‘হোমিওপ্যাথিক করোনা ভাইরাস প্রতিশেধক ওষুধ’ বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল উদ্বোধন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের এই সময়েও দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আমাদের এই জাতির দুর্ভাগ্য যে এমন একটা সরকার এই দেশ শাসন করছে, যারা কোন নির্বাচিত সরকার নয়। যাদের কোন জবাবদিহিতা করতে হয় না। পার্লামেন্টে তারা যে বাজেট দিয়েছে সে বাজেটের আলোচনা হয়েছে মাত্র দুই তিন দিন। বিএনপির যে সকল সংসদ সদস্য রয়েছেন তারা একটি ভার্চুয়াল সংসদ করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন কিন্তু সেটাও করা হয়নি।

বিরোধীদলের এমপিরা সংসদে বক্তব্য দিতে গেলে তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। এই চরম দুরবস্থার মধ্যে সারাদেশের মানুষ আজ অসহায় হয়ে গেছে। তারা কোন দিক নির্দেশনা খুঁজে পাচ্ছে না। সরকারের ভুল নীতির কারণে সমগ্র দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সারাবিশ্বে একটা ভীতি একটা ত্রাস, একটা আতঙ্ক হিসেবে পুরো মানবজাতিকে গ্রাস করেছে। আমরা প্রতি মুহূর্ত্বে এই বিষয়টা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং চিন্তিত। এই রোগ কাকে কখন কিভাবে আক্রমণ করে এই কথা ভেবে। এই রোগকে মোকাবিলা করার জন্য সাধারণ চিকিৎসা ব্যবস্থা হিমিশিম খেয়ে যাচ্ছে। আপনারা দেখেছেন এই করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। আমাদের দেশে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সোয়া লাখ মানুষ, মৃত্যু বরণ করেছে প্রায় দুই হাজারের কাছাকাছি সরকারি হিসাব মতে।

বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার সিস্টেম একেবারেই ভেঙে পড়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারেই লেজেগোবরে অবস্থা হয়ে গেছে। আমারা বরাবরই বলে আসছি সরকার এই স্বাস্থ্যখাতে চরম অবহেলা করার জন্যে, তাদের উদাসীনতার জন্যে এবং করোনা আক্রমণের পর থেকে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়ার কারণে, ভ্রান্ত নীতির কারণে বাংলাদেশে একটি করুণ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এখানে কারো কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। দেশে যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আছেন তারা একেক সময় একেক কথা বলছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র গতকাল বলেছেন, আর কাল বিলম্ব না করে অনতিবিলম্বে জোন ভিত্তিক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। আপনি দেখুন কতোটা সামঞ্জস্যহীনতা হলে, কতোটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে মেয়রকে এই কথা বলতে হয়। অনেক আগেই বলা হয়েছে, দেশে রেড জোন, ইয়োলো জোড, গ্রীণ জোনে ভাগ করা হবে। ঢাকা শহরের কিছু অঞ্চলকে গ্রীণ জোনে ভাগ করেছেন এবং রেড জোনগুলো কঠিনভাবে লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসবেন। তবে রাজধানীর একটি এলাকা ছাড়া আর কোথাও লকডাউন করেছে বলে আমার মনে হয় না। আমার মনে হয়, সরকার জানেনই না তারা এখন কি করবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের মানুষকে যে গাইড লাইন দেবে সেটাও তারা দিতে পারেননি। গোটা বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলা করার জন্য যে একটা রোডম্যাপ, একটা প্রতিরোধ পরিকল্পনা দরকার তার সবটাই অনুপস্থিত এখানে।

ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন গত কয়েকদিন আগে চীনা বিশেষজ্ঞরা এই দেশে এসছিলেন। তারাও একই কথা বলেছেন যে, বাংলাদেশের সবকিছু এলোমেলো। এখানে কোথায় রোগ আছে সেটাই খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তারা চিহ্নিত করতে পারছেন না। কারণ এটা চিহ্নিত করার জন্য সরকারের কোন ব্যবস্থা নেই। আজকে দুর্ভাগ্যের কথা আমাদের এই সরকার এই মহামারীকেও অবহেলা অবজ্ঞা করেছেন। এটার পেছনে তাদের রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য ছিলো। পরে যখন এই মহামারি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে তখন তারা এটা নিয়ে কিছুটা কথা বলতে শুরু করেছে। আপনারা জানেন এই করোনা মোকাবিলা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই প্রণোদনার মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্যাংক ঋণ। অথচ সরকারের সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া উচিত ছিলো মানবিক দিকটাকে। এই মহামারির কারণে যারা আজ কর্মহীন হয়েছে তাদের বেঁচে থাকার জন্য যে ন্যূনতম টাকা প্রয়োজন সেটাও সরকার পৌঁছাতে পারেনি। মাত্র আড়াই হাজার টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটা অনুদান ৫০ লাখ মানুষকে দেয়ার কথা হয়েছে সেটাও আবার দলীয়করণ করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা একটা প্যাকেজ প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার সেটা সম্পূর্নভাবে নাকচ করে দিয়েছে।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এই মুহুত্বে কোথাও অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি হাসপাতালগুলোতেও অক্সিজেন নেই। আর হাসপাতালে যে বেডগুলো করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য রাখা হয়েছে। সেই বেডগুলো নাকি খালি পরে আছে। কারণ মানুষ হাসপাতালে যেতে চাচ্ছে না, হাসপাতালের যে ব্যবস্থা তাতে কেউ আস্থা রাখতে পারছে না। বেশিরভাগ মানুষই ঘরের মধ্যে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার অনেকেই ঘরের মধ্যেই মারা যাচ্ছেন।

আজকে জাতীয়তাবাদী হোমওিপ্যাথি দল বাংলাদেশের মানুষকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য যে এগিয়ে এসেছে আমার তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। দেশের সকল রাজনৈতিক দল, সকল সংস্থাকে এগিয়ে এসে করোনা মোকাবিলায় কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print