ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

তিন বছরের মধ্যে চট্টগ্রামকে আধুনিক নগরীতে পরিণত করা হবে

????????????????????????????????????

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

????????????????????????????????????
.

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন,কর্পোরেশনের অভ্যন্তরীণ অবস্থা খুবই নাজুক। প্রতিকূল অবস্থায় কাজ করছি। সকল প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে বিলবোর্ড উচ্ছেদ করে নগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

আগামী ৩ বছরের মধ্য ৩টি বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীকে আধুনিক নগরীতে পরিণিত করা হবে।

বুধবার দুপুরে সিনিয়র ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকার সমূহের ব্যুরো প্রধানদের সাথে মতবিনিময় তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের সীমাবদ্ধাতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর্পোরেশনের অনেক জঞ্জাল অনিয়ম দুর্নিতীতে ডুবে ছিল। আমি দায়িত্ব নেয়ার অযোগ্য,অদক্ষ ও দুর্ণিতীবাজ অনেক কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। পুরানো ধাচের কর্মকর্তা- কর্মচারী,অদক্ষ ব্যবস্থাপনা,দূর্ণীতি ও অস্বচ্ছতার আবরনে ঢাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রায় দেড় বছর সময়ে অনেক সংস্কার করতে হয়েছে।

মেয়ার নির্বাচিত হওয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রথম মতবিনিময় সভায় আ জ ম নাছির বলেন, অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারনে নাগরিক সেবা অনেকাংশে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। দায়-দেনা আর অনিয়মের গ্লানি থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে আধুনিক প্রযুক্তিতে বাস্তবমুখী সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি নাগরিক সেবায় একমাত্র অবলম্বন হোল্ডিং ট্যাক্স এর বিষয়ে বলেন, তাঁর জানামতে ১৯৯৪ এর পর ২০০৮-২০০৯, ২০০৯-২০১০, ২০১০-২০১১ এ সময়ে আংশিক আংশিক এসেসম্যান্ট করা হয়েছিল। পূর্ণাঙ্গ এসেসম্যান্ট কোন সময়ে হয়েছে তা তিনি রেকর্ড পত্রে পাইনি বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও প্রায় দেড় লক্ষ হোল্ডার এর মধ্যে ইতোপূর্বে এসেসম্যান্ট হওয়া প্রায় ১৪ হাজার আপত্তি নিষ্পত্তি না করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে সেসকল আপত্তি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চলছে। এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারন করে তা আদায়ের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ট্যাক্স ধার্য্য করার কোন ক্ষমতা বা এখতিয়ার সিটি কর্পোরেশনের নেই। আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর কর পূনঃমুল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করার এখতিয়ার দিয়েছে সরকার। তারই আলোকে ইতোমধ্যে ১১ টি ওয়ার্ডে পূনঃমুল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। বাকি ৩০ টি ওয়ার্ডে পূনঃমুল্যায়নের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের ইচ্ছে হলে স্ব স্ব এসেসম্যান্টের মাধ্যমে নিজ নিজ হোল্ডিং এর ট্যাক্স নির্ধারন করার সুযোগ রয়েছে। এ কার্যক্রম প্রসঙ্গে নানামুখি আলোচনা ও সমালোচনা পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এ বিষয়টি আলোচনা ও সমালোচনার আওতায় পড়ে না এবং কাম্যও নয়। তিনি কর পূনঃমুল্যায়ন বিষয়ে আইনের বাধ্যবাধকতা ও এসেসম্যান্ট পদ্ধতি তুলে ধরে সাংবাদিকদের মাধ্যমে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। মেয়র তাঁর ভিশন সম্পর্কে বলেন, নগরীর পরিবেশ উন্নয়নে রাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। ব্যয় বহুল এ কর্মসুচী বাস্তবায়নে নানা ঝুঁকি সত্বেও ডোর টু ডোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে।

ডিসেম্বর’১৬ এর মধ্যে ৪১ টি ওয়ার্ডে বিন বিতরণ সম্পন্ন করা হবে। ইতোমধ্যে ৭টি ওয়ার্ডে আবর্জনা সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হয়েছে। তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সংবাদপত্রের সহযোগিতা চান। মেয়র বলেন, নাগরিক সুবিধার্থে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্স আদায় সহ সকল কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। তিনি আলোকিত নগর প্রসঙ্গে বলেন, অনেক জায়গায় সিটি কর্পোরেশনের আলোবাতি পরিপূর্ণভাবে পৌছানো সম্ভব হয়নাই। তবে ৪১ টি ওয়ার্ডের অলিগলি,সড়কপথ আলোকিত করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫৬ কি.মি. রাস্তায় পাওয়ার বেইজ এলইডি বাতি স্থাপন এবং ২ কি.মি.সড়কে সোলার বেইজ এলইডি বাতি স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

মেয়র সামর্থ্যবানদের ট্যাক্স যথানিয়মে আদায় করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা চেয়ে বলেন, গরীব দঃুস্থ, প্রতিবন্ধী ও নিঃস্বদের নামমাত্র ট্যাক্সের আওতায় রেখে হোল্ডিং ঠিক রাখা হবে। অসামর্থ্যবান নাগরিকদের উপর সিটি কর্পোরেশন কোন জুলুম বা জবরদস্তি করবে না। তিনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রসঙ্গে বলেন, এ দ’ুটি সেবা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। এই দুই খাতে বছরে প্রায় ৫৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে সেবার পরিধি আরো বৃদ্ধি করার চেষ্টা চলছে। অনুমোদন সাপেক্ষে শিক্ষক নিয়োগ করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো মান সম্মত ও গতিশীল করা হবে। ইতোমধ্যে ডাক্তার স্বল্পতা নিরসন করে জেনারেল হাসপাতালে চক্ষু ও দন্ত চিকিৎসা সেবা চালু করা সহ প্রতিবন্ধী কর্ণার চালু করা হয়েছে। এ হাসপাতালকে বার্ণ ইউনিট সহ আধুনিক সুবিধা সম্বলিত জেনারেল হাসপাতালে উন্নিত করা হবে। মেয়র বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভর্তুকি কমানোর পরিকল্পনা সিটি কর্পোরেশনের রয়েছে। আইসিটি শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় নীতিমালা চালু করা হবে।

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জনবল কাঠামো সংশোধনের কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ১২ হাজার জনবলের প্রয়োজন হবে। ফুটপাত, অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করে পরিবেশ উন্নয়ন এবং নগরীকে বিউটিফিকেশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। হকার উচ্ছেদ না করে নির্ধারিত স্থান এবং সময়ে হকারদের ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হবে। তাদেরকে বৈধতাও প্রদান করা হবে। নাগরিক দূর্ভোগ নিরসনে সিটি কর্পোরেশন এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। কারন হকারদের সাথে নগরীর প্রায় ২ শত বস্তি ও বস্তির অধিবাসী ১০ লক্ষ নাগরিকের চাহিদা জড়িত আছে। আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে হকারদের শৃংখলার মধ্যে এনে দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত গড়ে তোলা হবে। উন্নয়ন প্রসংগে মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশন ৪ ধাপে কয়েকটি ডিপিপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেছে। তন্মধ্যে কয়েকটি প্রি-একনেকে অনুমোদিত হয়ে একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আর কয়েকটি ডিপিপি ডিসেম্বর নাগাদ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পেশ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ৩৭৮ কোটি টাকা, ৩৫০ কোটি টাকা, ২১০ কোটি টাকার ৩ টি ডিপিপি প্রি-একনেক হয়ে একনেকের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এছাড়াও ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার অপর একটি ডিপিপি পরীক্ষামূলক যাচাই বাছাই চলছে। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আগ্রহী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ও আগ্রহী। সরকারী, আধা সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় করে আগামী ৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম মহানগরীর দৃশ্যপট পরিবর্তন করা হবে। মেয়র বলেন, নানা শ্রেনী ও পেশার মতামত, মিডিয়ার মতামত, সরকারী,বেসরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সমূহের মতামত সহ ১৯৯৫ সনের ড্রেনেজ মাষ্টার প্লানের ভিত্তিতে নতুন আরো ২ টি খাল খননের জন্য ডিপিপি তৈরী করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং পাওয়ার চায়না’র মাধ্যমে নগরীর মদুনাঘাট থেকে পতেঙ্গা নেভাল বিচ পর্যন্ত ১৩০ ফুট রাস্তা, বণ্যা নিয়ন্ত্রণ দেয়াল নির্মাণ, ২৬ টি খাল শাসন এবং খালের মুখে স্ল্যুইচ গেইট সহ পাম্প হাউজ স্থাপন এর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে নগরীর খাল ড্রেজিং, কর্ণফূলী নদী ড্রেজিং কার্যক্রম অচিরেই শুরু হবে। আইনের জটিলতার কারনে কর্ণফূলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং এযাবত বন্ধ ছিল। তা নিরসন হয়েছে, অচিরেই ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু হবে। কর্ণফূলী নদী দখলমুক্ত করার জন্য নদী শাসন কমিশন ও চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব বিধি বিধান অনুসরন করা হবে।

মতবিনিময় সভায় জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনের প্রায় ৫০ জন ব্যুরো প্রধান উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- দৈনিক জনকন্ঠের মোয়াজ্জেমুল হক, দৈনিক যায়যায় দিনের হেলাল উদ্দিন চৌধুরী,  দৈনিক প্রথম আলো’র ওমর কায়সার, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন শ্যামল, দৈনিক নিউ এইজ এর নুরুল আলম, বাংলা নিউজ ২৪ এর তপন চক্রবর্তী, ইপিবির মোস্তফা কামাল পাশা, দৈনিক ইত্তেফাক এর সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, দৈনিক মানবকন্ঠের ইয়াছিন হীরা, দৈনিক সংবাদ এর নিরুপম দাশগুপ্ত, পাঠক ডট নিউজ এর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিল্পী, আবাস এর মাখন লাল সরকার, বিডি নিউজ ২৪ ডট কম এর মিন্টু চৌধুরী, দি ডেইলী ষ্টারের দ্বৈপায়ন বড়ুয়া, দৈনিক আমাদের সময়ের হামিদ উল্লাহ, দৈনিক সমকালের সারোয়ার সুমন, দৈনিক বণিক বার্তার রাশেদ এইচ চৌধুরী, দৈনিক ভোরের পাতার মো. নুরুল কবির, দৈনিক বর্তমান এর সালাউদ্দিন মাহমুুদ পিন্টু, দি ডেইলী পিপলস্ এর জামাল হাওলাদার, যমুনা নিউজ ২৪ ডট কমের আবদুল্লাহ আল জামিল, দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের ভূপেন দাশ, দৈনিক ভোরের ডাক এর কিরন শর্মা, দৈনিক নিউ নেশনের নজরুল ইসলাম, দৈনিক মানব জমিন এর জাহিদ হাসান, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সাইফুদ্দিন তুহিন, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস এর পংকজ কুমার দস্তিদার, ডেইলী সান এর আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন এর তুষার হায়াত চৌধুরী, দৈনিক কালের কন্ঠ’র আসিফ সিদ্দিকী, দৈনিক ভোরের কাগজ এর প্রিতম দাশ, দৈনিক যুগান্তর এর আহমেদ মুছা সহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

এছাড়াও সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, জনংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম সহ চসিক এর অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print