ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সীতাকুণ্ডে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে: ৬ মাসে ৯ জনের মৃত্যু

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড:
জেলার সীতাকুণ্ডে উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে আত্মহত্যার ঘটনা। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে নয়টি এবং রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে একটি।

চলতি বছরে এইসব আত্মহত্যা জনমনে আতঙ্ক বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। কারণ হিসেবে যৌতুক, পারিবারিক নির্যাতন, সম্পর্কের জটিলতা, অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও দায়ী করছেন সমাজ বিজ্ঞানীরা। বছরের প্রথম আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নে।

১০ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কহলে মির্জানগর জেলে পাড়ায় আত্নহত্যা করে অপু জল দাস (২৮)। দ্বিতীয় আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ১৪ই ফেব্রুয়ারী, ভালোবেসে বিয়ে করে স্বামীর যৌতুক দাবীতে নিজ ঘরে আত্নহত্যা করে তুষা আক্তার(১৮)।

২৮ ফেব্রুয়ারি সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ঘোড়ামরা এলাকায় নিজ ঘর থেকে শারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্বার করে পুলিশ। ১৭ই মার্চ ভাটিয়ারী ইউনিয়নে আত্মহত্যা করে মোহাম্মদ শামীম (৪০) নামের এক ভ্যান চালক। হাইওয়ে পুলিশ তার অটোরিকশাটি থানায় নিয়ে গেলে রাগে-ক্ষোভে সে আত্নহত্যা করে।

এর পরের মাসেই ৮ দিনের ব্যবধানে ঘটেছে তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা। ৪ই মে এক ঘন্টার ব্যবধানে দুটি ইউনিয়নে দুই গৃহবধূ আত্মহত্যার ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে সবার মাঝে। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের শাহেদা আক্তার (২৬) ও বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নে আয়রিন আক্তার (২১) আত্নহত্যা করে। এর আট দিন পর গুলীয়াখালীতে শহিদুল ইসলাম (২৭) নামে আরেক যুবক আত্মহত্যা করে।

এছাড়া জুন মাসে ঘটেছে দুটি আত্মহত্যার ঘটনা। ১৭ জুন বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে আত্মহত্যা করে আলাউদ্দিন (৩১) নামে এক যুবক। তার দু দিনের মাথায় কুমিরাতে স্বামীর সাথে অভিমানে আত্মহত্যা করে অন্তঃসত্তা সুষ্মিতা (৩৫) নামের এক গৃহবধু। সর্বশেষ ২৫ জুলাই মুরাদপুর ইউনিয়নে তানিয়া আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরী মায়ের সাথে অভিমানে আত্মহত্যা করে।

সমাজ বিশ্লেষকরা মনে করছেন পারিবারিক অশান্তির, যার পেছনে করণ গুলো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির দিকে মনোনিবেশ এবং পারিবারিক সদস্যদের মধ্যে বোঝাপড়া এবং সময় না দেওয়ার প্রবণতা।

এমনকি দারিদ্রতা বেকারত্ব এবং মানসিক চাপের প্রভাব তো রয়েছে। মানসিক চাপমুক্ত থাকা এবং পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করা গেলে আত্মহত্যা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা। ছয়মাসে ৯ জনের আত্নহত্যা, বিষয়টি উদ্ধেগজনক।

অত্যাচারিত হতে হতে যখন কোনো মানুষ এমন একটা পর্যায় পৌঁছায়, যে অত্যাচারের প্রতিকার পাওয়ার কোনো রাস্তা থাকে না, তখন অনেকে আত্মাহুতি দিয়ে ফেলেন। আত্নহত্যা রোধ করতে হলে সামাজিকভাবে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। সেটা হতে পারে ধর্মীয়ভাবে, পারিবারিকভাবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

এব্যাপারে সীতাকুণ্ড নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য সচিব লায়ন মো.গিয়াস উদ্দিন বলেন, সীতাকুণ্ডে চলতি বছরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৯ টি যা অস্বাভাবিক । বর্তমান যারা হতাশ, আর ভবিষ্যৎ অন্ধকার সে তখন আত্নহত্যা বা আত্নহননের পথ বেঁচে নেয়। যাঁরা আত্নহত্যা করে তারা এক ধরনের মানসিক রোগী। তাই এ ধরনের লোকদের সামাজিকভাবে সচেতন ও ধর্মীয় মূল্যবোধের মাধ্যমে এ পথ হতে ফিরিয়ে আনতে হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print