
যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও ১ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) শওকত আলী বীর প্রতীককে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
আজ রবিবার (৫ জুলাই) বাদ জোহর দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর গরিব উল্লাহ শাহ মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১১টায়।
সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশন মেজর আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ১১টার দিকে ওনার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গার্ড অব অর্নার অনুষ্ঠানে এই বীর প্রতীককে শ্রদ্ধা জানান ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিসহ অনেক সেনা সদস্যরা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
গতকাল শনিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থার দেশপ্রেমিক এ সৈনিক ৬৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
তিনি স্ত্রী নাসিমা বেগম, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। কিছুদিন ধরে হার্টের সমস্যাসহ ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, জানাগেছে, এম আশরাফ আলী ও শিরিন আরা বেগমের ছোট ছেলে শওকত আলী। বাবা ছিলেন রেলওয়ের চিফ ট্রাফিক ম্যানেজার। তাদের আদি বাড়ি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কট্টেশ্বর গ্রামে। কিন্তু দেশ বিভক্তের সময় আশরাফ আলীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম। ফলে ছেলে শওকত আলীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরেই।
নার্সারি থেকেই শওকত আলী লেখাপড়া করেন নগরীর সেন্ট প্ল্যাসিড হাই স্কুলে। ম্যাট্রিক পাশ করেন ১৯৬৮ সালে। অতঃপর ভর্তি হন চট্টগ্রাম গভর্মেন্ট কলেজে। ১৯৭০ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে চলে যান ঢাকায়। অনার্সে ভর্তি হন ইংলিশে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
৭ মার্চ, ১৯৭১। শওকত আলী তখন জিন্না হলের (বর্তমান সূর্যসেন হল) ১৫৪ নম্বর রুমে থাকেন। বন্ধুদের সঙ্গে চলে আসেন রেসকোর্স ময়দানে। খুব কাছ থেকে প্রথম দেখেন বঙ্গবন্ধুকে।