ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পটিয়ায় শশুরবাড়ীতে প্রবাসী হত্যার ঘটনায় স্ত্রী ও শাশুড়ী কারাগারে

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

জেলার পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে শ্বশুরবাড়িতে প্রবাস ফেরত সাইফুল ইসলাম সুমন (৩৫) হত্যার ঘটনায় স্ত্রী- শাশুড়িকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের আজ রবিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মোঃ ওমর ফারুক বাদি হয়ে চারজনকে আসামি করে পটিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে গতকাল শনিবার রাতে।

আসামিরা হলেন, নিহতের স্ত্রী আরিফা আকতার (২৫), মা মনোয়ারা বেগম (৪০), জমজ বোন শাহিন আকতার (২৫) ও তার স্বামী মোঃ হোসেন (৩৫)।

পুলিশ নিহত সৌদী প্রবাসী সুমনের স্ত্রী আরিফা আকতার ও শাশুড়ী মনোয়ারা বেগম গ্রেফতার করলেও মামলার অপর দুই আসামি জমজ বোন শাহিন আকতার ও তার স্বামী মোঃ হোসেন পলাতক রয়েছে।

.

এর আগে গত শুক্রবার (১৭ জুলাই) গভীর রাতে সুমনকে ছুরিকাঘাত করলে পরদিন শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা যায় পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের পূর্ব বিনিনীহারা এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে প্রবাসী সুমন একই ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিনখাইন এলাকার ফরিদুল আলমের মেয়ে আরিফা আকতারের সাথে সামাজিক ভাবে চার বছর আগে বিয়ে হয় । তাদের তিন বছরের একটা মেয়েও রয়েছে। বিয়ের পর সুমন সৌদি আরবে চলে গেলে পরিবারের সঙ্গে তার স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় নিজের বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ছয় মাস আগে প্রবাস থেকে ফিরে আসেন তিনি।

মামলার বাদী বড়ভাই ওমর ফারুকের আহাজারী।

এর মধ্যে বেশ কয়েকবার শ্বশুর বাড়িতে আসা যাওয়া করে সুমন। গত শুক্রবার রাতে আবারও শ্বশুরবাড়ি গেলে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তার স্ত্রীসহ শাশুর বাড়ির লোকজনের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সুমন। এসময় শাশুরবাড়ির লোকজন স্হানীয় হাতুড়ে চিকিৎসক আলমগীরকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে সুমনের প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এ অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ফারুক জানান, আমার ভাই বিদেশ হতে সব টাকা পয়সা তার স্ত্রীর এক্যাউন্টে পাঠাতো। ছয় মাস আগে বিদেশ হতে দেশে এসে করোনা পরিস্থিতির কারনে আর বিদেশে ফিরে যেতে পারেননি। তাকে শশুর বাড়িতে পরিকল্পিত ভাবে ডেকে নিয়ে টাকার লোভে শশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। এখন ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তারা বলছেন সুমন নিজে নিজে ছুরিকাঘাতে আত্নহত্যা করেছে।

এদিকে এঘটনায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নিহতের স্ত্রী আরিফা আকতার (২৫) ও শাশুড়ী মনোয়ারা বেগম (৪০) কে পটিয়া থানা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটককরে থানা হাজতে নিয়ে যায়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।

পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, শুক্রবার রাতে সুমন তার শ্বশুরবাড়িতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবারে তার মৃত্যু হলে বিষয়টি আমরা জানতে পারি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সুমনকে হত্যার অভিযোগে তার বড় ভাই ফারুক বাদি হয়ে একটা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় আটক মা মেয়ে দুইজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট আসার পর আরো কিছু জানা যাবে বলে জানান তিনি। বাকি দুই আসামীকে ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print