
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়োজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বেলাল হোসেন দফাদার (৩৯) নামে এক শিশু ধর্ষনকারী নিহত হয়েছে। বুধবার (২২ জুলাই) গভীর রাতে চট্টগ্রাম স্থানীয় শান্তিনগর আবাসিক এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
বায়োজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ বলছে নিহত বেলাল হোসেন দফাদার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি ধর্ষণের মামলা। সে মূলত একজন ‘সিরিয়াল শিশু ধর্ষক’ ছিল।
সিএমপির উপ কমিশনার (উত্তর জোন) বিজয় বসাক বন্দুকযুদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাম্প্রতি নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় পাঁচ, আকবর শাহ এলাকায় দুই ও খুলশী এলাকায় একজনসহ বিভিন্ন বয়সী আট শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এসব ঘটনা অনুসন্ধানে পুলিশ বেলাল দফাদারের সম্পৃক্ততার তথ্য পায়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করতে শান্তিনগর আবাসিক এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বেলাল ও তার সহযোগীরা পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ পাহাড়ের দিকে এগিয়ে গেলে বেলালের সহযোগীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বেলাল মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
নিহত বেলাল আগে বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় থাকতো। বর্তমানে সীতাকুণ্ড উপজেলার কালু শাহ মাজার এলাকায় বসবাস করছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বায়েজিদ এলাকায় এক শিশুকে ধর্ষণের জন্য অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছিল। এক বছর আগে সে জামিনে বেরিয়ে আসে। গত জানুয়ারি থেকে সে আবারও বায়েজিদ এলাকায় আসতে শুরু করে। বেলাল বায়েজিদে আসা যাওয়া শুরুর পর এই এলাকায় শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যায়। গত ছয় মাসে আট শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। চকলেটের লোভ দেখিয়ে, টাকা দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে পাহাড়ে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করা হয়। সর্বশেষ গত ১৫ দিনে দুটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয় হয় বলে জানায় বায়োজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার।