চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ”অনলাইন জুয়া”র প্রতারক চক্রের ৫ জন সদস্য গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় একটি প্রাইভেটকার, তিনটি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ, পাঁচটি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন, ১৮ টি বিভিন্ন কোম্পানীর মোবাইল সিম, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি এইট পোর্ট মডেম, দু টি ব্যাংকের চেক বই, নগদ দুই লক্ষ বাইশ হাজার পাচঁশত টাকা জব্দ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিএমপি আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ অভিযানের বিষয়টি জানানো হয়।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) আসিফ মহিউদ্দীন পাঠক ডট নিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অনলাইন জুয়াড়িরা তৎপর হয়ে উঠে। তারা উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের টাকা ”অনলাইন জুয়া” র মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২১ জুলাই হতে গতকাল পর্যন্ত সিএমপির বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাইনানি ডট কম, বাইনানি টুয়ান্টি ফোর ডট কম নামক ওয়েবসাইট এবং বাইনানিস, প্রোফি আইকিউ, বাইনানি গো এপস ব্যবহার করে জুয়া পরিচালনার মাধ্যমে সাধারণ জনগণ প্রতারণার অভিযোগে খুলশী থানাধীন পশ্চিম খুলশীস্থ জালালাবাদ হাইজিং সোসাইটি এলাকা হতে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মহানগর মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগ এ অভিযান চালায়।
গ্রেফতারকৃতরা হল- মোঃ শাখাওয়াত হোসেন প্রকাশ শাওন (২০), মোঃ মনির আহমদ (৪০), মোঃ আরিফ উদ্দিন (৪০), ফয়সাল খাঁন (৩২), মোঃ জাবেদ মিয়া (৪০)।
আটক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন প্রকাশ শাওনকে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সোশ্যাল অ্যাপস “টেলিগ্রাম’’ এর বাইনানি গ্রুপে যুক্ত করে অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে বাইনানি ডট কমনামক ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য অফার করে। সে তাদের সাথে যুক্ত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে বাইনানি ডট কম, বাইনানি টুয়ান্টি ফোর ডট কম নামক ওয়েবসাইট এবং বাইনানিস, প্রোফি আইকিউ, বাইনানি গো এপস ব্যবহার করে সাধারণ জনগণ এবং উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদেরকে ”অনলাইন জুয়া” খেলার জন্য আকৃষ্ট করে। জুয়া খেলার জন্য তারা বিভিন্ন বিকাশ/রকেট/নগদ নাম্বার ব্যবহার করে।
উক্ত বাইনানি ডট কম ওয়েবসাইটে লেনদেন করার জন্য সে নিজে বিকাশ/রকেট/নগদ এজেন্ট নাম্বার প্রয়োজন হলে সে বিভিন্ন এজেন্ট/ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের এস.আর/সুপারভাইজার দের নিকট হতে টাকার বিনিময়ে অবৈধ পন্থায় বিভিন্ন সময়ে অন্যের নামে রেজিষ্ট্রেশন করা বিকাশ/নগদ/রকেট সীম সংগ্রহ করে।
উক্ত বিকাশ/নগদ/রকেট নাম্বারগুলো ব্যবহার করে সে সাধারণ জনগণ এবং উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের টাকা সংগ্রহ পূর্বক ডলারে কনভার্ট করে অন্যান্য সহযোগীর মাধ্যমে বিটকয়েন এ রূপান্তর করে ইউক্রেনে আর্ট স্ট্রং নামক ব্যক্তির নিকট প্রেরণ করে আসছে বলে জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
