
টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনা অফিসার খুনের ঘটনায় একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান আজিজ আহমেদ।
তিনি বলেছেন, এ ঘটনার তদন্ত টিম কাজ করছে তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুৃখি করা হবে বলে জানান তিনি।
আজ বুধবার আড়াইটায় সেনা বাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ ও পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদ কক্সবাজারে যৌথ এক প্রেসবিফিং এ এই কথা বলেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদ বলেছেন, ‘টেকনাফে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটির কারণে দুই বাহিনীর মধ্যে কোন ব্যত্যয় ঘটবে না। বরং আমাদের লক্ষ্য হবে যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত যৌথ তদন্ত কমিটি হয়েছে তারা প্রভাবমুক্ত পরিবেশে তদন্ত করবে। তারা তদন্ত করে যে প্রতিবেদন দিবেন সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনি কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং সেটাই গ্রহন করা হবে।
বেনজির আহমেদ আরো বলেন, উক্ত ঘটনাটিকে অনেকেই উষ্কানিমুলক কথা বার্তা বলছে। এসব বলে তারা সফল হতে পারবে না। কারণ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে পরস্পর সম্পর্ক রয়েছে। যারা বিভিন্ন উস্কানিমুলক কথা বলে দুই বাহিনীর মধ্যে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন তারা কখনও সফল হবে না। তাই দেশের স¦ার্থে এ ধরণের কোন কথা বার্তা বলার অনুরোধ জানান।
প্রেসবিফিং এ পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদ আরও বলেন, কক্সবাজারে সাবেক সেনা অফিসার খুনের ঘটনা দুই বাহিনীতে কোন ধরণের প্রভাব ফেলবে না।
তিনি প্রশাসনের মাদক বিরোধী স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন- এলাকায় কারা মাদক ব্যবসা করে কারা মাদক পাচারে জড়িত আপনার জানেন। কারণ আপনারা এ এলাকার মানুষ। আপনারা তাদের চিহ্নিত করে দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে পারেন।
দুই বাহিনীর প্রধান পরে কক্সবাজার সৈকতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর রেস্টহাউস জলতরঙ্গতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হোন। এ সময় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে বিমানবন্দর হয়ে কক্সবাজার সৈকতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর রেস্ট হাউস জলতরঙ্গে এসে পৌছেন। এসময় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। পরে বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।