
নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন পুরাতন চান্দগা্ঁও থানা এলাকায় মা ও ছেলে খুন হয়েছে। আজ সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন-নিহত দুইজন হলো- গুলনাহার বেগম (৩৪) ও তার ছেলে মো. রিফাত (৯)।
গলায় আঘাত করে মা ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছেছে।
চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান খন্দকার পাঠক ডট নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুরাতন চান্দগাও থানার কাছে রমজান আলীর বাড়ীতে মা ও ছেলে খুন হয়েছে। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানান, নগরীর চাঁন্দগাও পাঠানিয়া গোদা এলাকার সরাফত উল্লাহ রোডের একটি ভাড়া বাসায় এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন গোল নাহার বেগম। প্রতিদিনের মতো গোল নাহারের মেয়ে ময়ুরী আকতার সকালে গার্মেন্টে চলে যান। বাসায় ছিলো মা ও ছোট ভাই। চাকরি শেষে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখেন দরজা খোলা। মেজেতে মা ও ভাইয়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে রয়েছে। এসময় তার চিৎকারে আশাপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তারপর পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ গিয়ে ঘরের মধ্যে কয়েকটি মেলামাইনের প্লেট ভাঙ্গা অবস্থা দেখতে পায়। উভয়ের শরীরে রক্তাক্ত একাধিক ক্ষত পাওয়া গেছে। পূর্ব ক্ষোভ থেকে এ খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। আর এর জন্য নিহত নারীর পরিচিত এক কথিত ভাইকে সন্দেহ করছে পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছে।
নিহত গুলনাহারের বড় মেয়ে আজিম গ্রুপের গার্মেন্টস কর্মী ময়ূরী আকতার বলেন, আমি রাতে কারখানা থেকে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখি। কারো কোন সাড়া না পেয়ে দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকে দেখি নীচে ছোপ ছোপ রক্তের ফোটা। আমি প্রথমে মনে করেছি আমার ভাই রং নিয়ে কোন কাজ করার সময় হয়তো রং পড়েছে। পরে বেসিং এ গিয়ে দেখি আমার ভাই গলাকাটা অবস্থায় মরে পড়ে আছে। পরে মাকে খুঁজতে গিয়ে দেখি বাথরুমের দরজা বন্ধ। সেখানে দরজা খুলে দেখি মার লাশ পড়ে আছে।
ময়ূরী আকতার আরও বলেন- বহদ্দারহাটের সিরাজ নামে একজনের ছেলে ফারুকের সাথে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। ফারুকের আমার মাকে বোন ডাকতো। আমরা তাকে মামা ডাকতাম। পেশায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ফারুক সবসময় আমাদের বাসায় আসতো। অবসর সময়ে গুলনাহারের বানানো নাস্তা বিক্রি করতো। লকডাউনের সময়েই একইভাবে বিরিয়ানি বিক্রি করছিল ফারুক। ফারুক বিভিন্ন সময়ে টাকার লেনদেন নিয়ে গুলনাহারকে হত্যার হুমকি দিতো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গুলনাহারের স্বামী তাদের সাথে থাকতেন না। তিনি গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।