সামনে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একতরফা নির্বাচন করার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন সরকার বলে মন্তব্য করেছেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেছেন, অনির্বাচিত একদলীয় সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি-দুঃশাসন সরকারের প্রতিটি রন্ধে রন্ধে ঢুকে গেছে। কিন্তু সেই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয় না, সাজাও হয় না। অন্যদিকে গায়েবি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকার পরও জামিন শুনানি করতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সরকারের নির্দেশে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতে হাজিরা শেষে বায়েজিদ থানা বিএনপির ৩২ জন নেতা-কর্মীর জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করায় তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন।
ডা.শাহাদাত আরও বলেন, দেশে এখনও করোনা কাল চলছে। তাই সরকার সামাজিক দূরত্ব রেখে কাজ করার নির্দেশনা থাকলেও কিন্তু আদালতে সেই নির্দেশ না মানা হচ্ছে না। বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন বাতিল করে কোর্ট হাজতে একটি আবদ্ধ ছোট কক্ষে শতাধিক আসামিদের একসাথে রাখা হচ্ছে। ৩২ জন বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, মিথ্যা মামলা, জেল-জুলুম-নির্যাতন, নিপীড়ন, করে কোন স্বৈরাচারী টিকে থাকতে পারে নাই। আপনারাও পারবেন না। জনগণ সরকার যেদিন প্রতিষ্ঠিত হবে সেদিন আপনাদের কে ও পালাতে হবে।
সমাবেশে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়, এই সরকার’ হচ্ছে একটি স্বৈরাচার সরকার। এই করোনা কালীন সময়েও সাধারণমানুষ এই সরকারের জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় হাইকোর্ট থেকে যাদের থাকা সত্ত্বেও জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করছে।
সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, মিথ্যা মামলা হামলা নির্যাতন করে এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা জেলহাজতে প্রেরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
এসময় আইনজীবিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া, এডভোকেট নাজিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট ইফতেখার হোসেন, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, এডভোকেট এসএ সেলিম, এডভোকেট নেজাম উদ্দিন, এডভোকেট মাহমুদুল আলম চৌধুরী মারুফ, এডভোকেট জাহিদ বিন রশিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
