চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক টিংকু দাশের অকাল মৃত্যুর সংবাদ আমাদের জন্য ছিল ভীষণ বেদনার। সে বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিল। ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়ে সে পথচলা শুরু করেছিল। বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিএনপির সাংগঠনিক ভীত মজবুত করার জন্য তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। টিংকু দাশ ছিল কর্মী বান্ধব নেতা। মৃত্যুর এক বছর পরও সে আমাদের মাঝে স্বমহিমায় উজ্জল ও অমলিন।
তিনি শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক টিংকু দাশের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টিংকু দাশ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে টিংকু যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে তা বিএনপির নেতাকর্মীদের সবসময় অনুগ্রাণিত করবে। সে শহীদ জিয়ার নীতি ও আদর্শে আস্থাশীল হয়ে বিএনপিকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে যে অবদান রেখেছে নেতাকর্মীরা তা কোনোদিন ভুলবে না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, একজন আদর্শবাদী মানুষ হিসেবে টিংকু দাশ কখনোই নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। সে তার স্বল্পপরিসরের জীবনকালকে দলের কল্যাণে অকাতরে ব্যয় করে গেছে। দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও মহামারীর মধ্যে তার মতো নেতার খুবই প্রয়োজন ছিল। তার কর্মগুণেই সে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি: সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, টিংকু দাশ একজন দল অন্তপ্রাণ ব্যক্তি হিসিবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। সে ছিলো একজন সৎ, বিনয়ী ও ভদ্র মানুষ। শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে বেগম খালেদা জিয়াও তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থাশীল ছিল টিংকু দাশ। ওয়ান ইলেভেনের কঠিন সময়ে সে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছিল। তার অকালে চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
টিংকু দাশ স্মতি সংসদের আহবায়ক জাবেদ আনসারীর সভাপতিত্বে ও রাজিব ধর তমাল এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু।
এতে আরো বক্তব্য রখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সিহাব উদ্দিন মুবিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন কায়সার লাভু, সহ দপ্তর সম্পাদক মো: ইদ্রিস আলী, সদস্য মোঃ ইলিয়াছ, রামপুর ওয়ার্ড বিএনপির সা: সম্পাদক আলী হায়দার, তাঁতি দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, যুবদল নেতা আবদুল জলিল, আসাদুর রহমান টিটু, টিংকু দাশ স্মৃতি সংসদের নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, বিপ্লব চৌধুরী বিল্লু, আলিফ উদ্দিন রুবেল, রাসেদুল ইসলাম, মো: আরমান, মো: মাসুদ, মো: আফনান, ওয়াহিদ ইমাম খাঁন সারাত, মো: হেলাল, রিপদ দেব, জিবন মিত্র রাজ প্রমুখ।
