
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাজনীতি একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থায় রূপ পেয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঐ বছরের ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি অংশ আধিপত্যবাদে প্ররোচিত হয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতা ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করে আনে। তাই ৭ নভেম্বর জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।
তিনি শনিবার (৭ নভেম্বর) সকালে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নগরীর ২ গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পুষ্পস্তবক অর্পণ পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর সৃষ্টি না হলে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বল্প সময়ে দেশের মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছিলেন। দেশপ্রেম, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সার্ক প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উন্নয়মূখী কর্মকান্ডের কারণে তিনি একজন জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। একটি মহল জিয়াউর রহমানের সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এখনও জিয়া পরিবার ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে নতুন করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে
গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, জনগণের নিরাপত্তা কিছুই নেই। দেশ ও জাতি আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকীর মুখে। ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গনতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। বাকশালের প্রেতাত্মার ঘৃণ্য থাবায় গোটা জাতি আজ বিক্ষুব্ধ। এমতাবস্থায় ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক জনতাকে এগিয়ে আসতে হবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, এনামুল হক এনাম, এড, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, এড, এস এম ফোরকান, মন্জুর উদ্দিন চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, হুমায়ূন কবির আনসার, ভি পি মোজাম্মেল হক, জিয়াউদ্দিন চৌধুরী আশফাক, হাজী মোঃ রফিক, মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী, জামাল হোসেন, লায়ন হেলাল উদ্দীন, জাহেদ হোসেন চৌধুরী, নুরুল কবির, এড, আবু তাহের, আবুল কালাম আবু চেয়ারম্যান, মোঃ সালাউদ্দিন, আফিল উদ্দিন আহমদ, ইউনুস চেয়ারম্যান, আবু তাহের এমএসসি, এড, আরশাদুর রহমান লিটু, শাহনাজ বেগম, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন চৌধুরী রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মন্জুর আলম তালুকদার, সিঃ সহ সভাপতি শ ই রাহি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহীদুল আলম শহীদ, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন, যুগ্ম সম্পাদক কে এম আব্বাস, জেলা ওলামা দলের আহবায়ক হাফেজ মোঃ ফোরকান, সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান আনিস প্রমূখ।