
দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করার জন্য এই মুহুর্তে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা বেশী প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান।
তিনি বলেন, ’৭১ সালে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, স্বাধীকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দল যে চেতনা নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল ঠিক একইভাবে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে অন্যথায় স্বৈরশাসন আরও দীর্ঘায়িত হবে।
শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মাওলানা আব্দুল হামিদ খাঁন ভাসানাীর ৪০’তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় আবদুল্লাহ আল নোমান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, মাওলানা ভাসানী ও শহীদ জিয়ার দেশপ্রেম, আদর্শ ও উদ্দেশ্য ছিল এক ও অভিন্ন।
ভাসানী স্বায়ত্ত্বশাসন, স্বাধীকার ও মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে ধারন করে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং গণতন্ত্র যাতে চিরস্থায়ী হয় সে জন্য রাস্তায় থেকে আন্দোলন করেছেন ঠিক সে সময় স্বায়ত্ত্বশাসন ও স্বাধীকার আন্দোলনে হোসেন শহীদ সরওয়াদীসহ আওয়ামীপন্থীরা মিলে একসাথে আন্দোলন করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আরো আগে অর্জন হত। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ভাত কাপড়ের অধিকার প্রশ্নে মাওলানা ভাসানী কারো সাথে আপোষ করেনি।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, এখন দেশে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার নেই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন পূর্নগঠন নিয়ে গতকাল যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন এই প্রস্তাবনার আলোকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই প্রস্তাব দেশনেত্রী জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্য পেশ করেছেন। প্রস্তাবের সব বিষয়ে সরকার, রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজ আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য প্রদান করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা প্রয়োজন। অন্যথায় দেশে অর্থনৈতিক এব্ং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যে সংকট সৃষ্টি হবে তা জনগণকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেবে এবং রাজনৈতিক সংকট আরো ঘনীভূত হবে।
প্রবীন আইনজীবি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুষারী পরিষদ নেতা রফিকুল ইসলাম বাবলু, শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া, বিএনপি নেতা জাহাংগীর আলম চৌধুরী, এম.এ. সবুর, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ নুরুল হুদা, কাসেম শরীফ, কাজী বেলাল, মোহাম্মদ আলী, আহমেদুল আলম রাসেল, আবদুল মান্নান, জসীম উদ্দিন চৌধুরী, গাজী সিরাজ উল্লাহ, শফিউল আলম চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডিপটি প্রমূখ।