
কক্সবাজার থেকে অপহৃত তিন বছর বয়সী এক শিশুকে চট্টগ্রামে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) কোতোয়ালি থানা পুলিশ নগরীর রেলস্টেশন এলাকা থেকে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এসময় মো. শরীফ (৩৩) নামে শিশুটির অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর এলাকার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে।
সিএমপির কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন জানান, একই প্রতিষ্ঠানের চাকুরির সুবাদে শিশুটির পিতা জাহাঙ্গীর অপহরণকারী শরীফ থেকে এক লাখ টাকা ধার নিয়েছিল। সে টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তার শিশু সন্তানকে অপহরণ করে সে টাকা আদায় করার চেষ্টা চালায়।
ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম নগরীর রেলস্টেশন এলাকায় চেকপোস্টে ডিউটি পালনকালে শিশুসহ ঘুরে বেড়ানো মো. শরীফের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে শরীফ স্বীকার করে এক লাখ টাকার জন্য শিশুটিকে অপহরণ করেছে। এ ঘটনায় তিনি শরীফকে আটক করে ভিকটিম জুনায়েদকেসহ থানায় নিয়ে আসেন। পরে শিশুটির পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলে তার মা-বাবা থানায় এসে শিশুটিকে নিয়ে যান। পাশাপাশি শিশুটির মা রিনা আক্তার আসামির বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অপহৃত শিশু জুনায়েদের (৩) মা রিনা আক্তার ও তার স্বামী মো. জাহাঙ্গীর কক্সবাজার এলাকার রামু থানাধীন ফকিরাবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বাসার পাশে আড়ং বেকারি নামের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। এক বছর আগে রিনার স্বামী আসামি শরীফের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার নেন। করোনাকালীন সময়ে কাজ করতে না পারায় জাহাঙ্গীর সে টাকা পরিশোধ করতে পারে নাই। এরপর টাকা উদ্ধারের জন্য কৌশল বেছে নেয় শরীফ। সে জাহাঙ্গীরের কাছে তার বাসার ঠিকানা জানতে চায় এরপর ওই এলাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করে। এর ফাাঁকে জাহাঙ্গীরের পরিবারের ওপর নজর রাখে। প্রতিদিনের মতো রবিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রিনা আক্তার ও তার স্বামী জাহাঙ্গীর সকালবেলা কাজে চলে যায়। এরপর ওই দিন বেলা ১১টার দিকে শরীফ ওই বাসায় এসে রিনার ছেলেকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। শিশুটি তার সঙ্গে গেলে তাকে অপহরণ করে।