ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রাম নগরী থেকে “‌‍‌‍‍সিলিন্ডার বোমা বহনকারী” অটোরিকশা তুলে নেয়া হচ্ছে

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ১২ হাজার সিলিন্ডার বোমা বহনকারী সিএনজি অটোরিকশা অপসারণ করেছে চট্টগ্রাম বিআরটিএ। তবে এখনও সড়কে রয়ে গেছে এক লক্ষ মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি অটোরিকশা অর্থাৎ সিলিন্ডার বোমা। এসব সিএনজি অটোরিকশা অপসারনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম’র সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, স্ক্যাপ করণের পরে নতুন সিএনজি অটোরিকশা প্রতিষ্ঠাপন করায় গাড়ির মালিকরা বর্তমানে বাজার মূল্য হাঁকছে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামে সিএনজি অটোরিকশার শো-রুম ও ডিলার প্রতিষ্ঠান গুলো চ্যাসিসের দামের চেয়েও ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করছে। তবে বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট কর্তারা বলছেন, গ্রহকের কাছ থেকে কোনো শোরুমের কর্তারা অতিরিক্ত টাকা নেয়ার লিখিত অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

.

চট্টগ্রাম বিআরটিএ থেকে জানাগেছে, ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধন দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সেসময় এই সিএনজি অটোরিকশার আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ৯বছর। পরে মালিক ও চালকদের দাবির মুখে তিন দফায় অটোরিকশা গুলোর মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫বছর করা হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর আয়ুষ্কাল শেষ হওয়া ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার স্ক্যাপকরণ শেষে নতুন সিএনজি অটোরিকশা প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম বিআরটিএ।

অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ এসব সিএনজি অটোরিকশাগুলো লক্কর-ঝক্কর ও চলাচলের অনুপযোগী ছিল। এমন কী সাধারণ যাত্রীদের মাঝে ছিল ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডারবোমা আতঙ্ক। ২০১৭ সাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরে বেশ-কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ হারিযেছেন তিনজন যাত্রী ও চালক। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন আরো পাঁচজন। এমন ঘটনায় নড়েচড়ে বসে বিআরটিএ। মালিক শ্রমিক সংগঠন গুলোর চাপে ও সরকারের আন্তরিকতায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২০০১, ২০০২ ও ২০০৩ মডেলে প্রস্তুতকৃত সাড়ে আট হাজার সিএনজি অটোরিকশা ২০১৮ ও ২০১৯ সালে স্ক্যাপকরণ শেষে নতুন সিএনজি অটোরিকশার নিবন্ধন দেয় বিআরটিএ। করোনার কারণে প্রায় ১০ মাস স্ক্যাপকরণ কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর গত ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয় ২০০৪ মডেলের ৩ হাজার ৬১৬টি সিএনজি অটোরিকশার স্ক্যাপকরণ কাজ। ফলে চট্টগ্রাম নগরীতে এখন ১২ হাজার সিএনজি অটোরিকশা সম্পূর্ণ নতুন। এখন সাধারণ যাত্রীদের কাছে নেই আর সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও অগ্নিদগ্ধ হওয়ার আতঙ্ক।

.

জানাযায়, চট্টগ্রাম বিআরটিএতে সিএনজি অটোরিকশা স্ক্যাপ করণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরই চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা সিএনজি চোর সিন্ডিকেটের তৎপরতা বেড়ে যায়। চোরাই সিএনজি অটোরিকশা স্ক্যাপ করে নিজের নামে করে নিতেও প্রচেষ্টা চালায় তারা। এমনকি বিআরটিএর কর্মকর্তাদের জিম্মি ও সরকারী কর্মযজ্ঞে বাঁধা দিতে বিভিন্ন দপ্ততে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান ও মিথ্যা অভিযোগ প্রদান করা হয়। বিষয়টি সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী, সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বিআরটিএর চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবগত করে গত ১০ ডিসেম্বর চিঠি দেয় চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পু ফোর স্টোক ও সিএনজি মালিক সমিতি (রেজিঃ নং-২২৩০)।

এই তথ্য পেয়ে জেলার হাটহাজারী মডেল থানায় গত ১৯ জানুয়ারি একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বিআরটিএ চট্টমেট্রো সার্কেল-১ এর সহকারী পরিচালক তৌহিদুল হোসেন। জিডিতে বলা হয়, সরকারি বিধি মেনে মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি অটোরিকশা স্ক্যাপকরণ কাজে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পেরে চট্টগ্রাম বিআরটিএর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য মূলক অপ-প্রচার চানায় একটি চক্র। এমনকী ওই চক্রটি বিআরটিএর কর্মকর্তাদের কথা বলে নুরুল ইসলাম নামের এক সিএনজি অটোরিকশার এক মালিককে প্রতারিত করার চেষ্টা করেন। তবে গাড়ির মালিকতাদের ফাঁদে পা না দিয়ে দুদকে অভিযোগ করে। বিআরটিএ চট্টগ্রাম’র উপ-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ বিষয়টি যেনে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে চক্রটিকে রুখে দেন। আর কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়্ইা গাড়ি স্ক্যাপ করে ফিরেন নুরুল ইসলাম।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিআরটিএর উপপরিচালক (প্রকৌশলী) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, সিএনজি স্ক্যাপকরণ কার্যক্রমটি সরকারের কর্মযজ্ঞের অংশ। বিআরটিএ এখন সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজ। ২০০৪ মডেলের সিএনজি অটোরিকশা স্ক্যাপকরণ কার্যক্রম সচ্চতার সাথে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি। তবে একটি চক্র অপপ্রচার চালিয়ে এই কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট, বিআরটিএ কর্মকর্তা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আপনাদের (সাংবাদিক) উপস্থিতিতে কাজগুলো করা হয়।

তিনি বলেন, শোরুমে গ্রহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেয়েই অভিযোগগুলো সাথে সাথে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেছি। কোনো গ্রহক সিএনজি অটোকিশা ক্রয় করে নিবন্ধন নিতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হলেই সরাসরি আমার সাথে (উপপরিচালক (প্রকৌশলী) মো. শহীদুল্লাহ) যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন। অভিযুক্ত শোরুমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print