
নগরীর পতেঙ্গা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি বহিস্কৃত আওয়ামী নেতা নুরুল আবছারকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের ৫ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ জহির হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় নুরুল আবছার আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারি জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নুরুল আবছার পতেঙ্গা থানার দক্ষিণপাড়ার বদিউল আলমের ছেলে। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী।
আরও খবর: পতেঙ্গার চোরাকারবারী ও আ’লীগ নেতা আবছারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
২০১৮ সালের ৩ জুন পতেঙ্গার নেভাল রোড এলাকা থেকে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ নুরুল আবছারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তখন পুলিশ একটি মামলাও দায়ের করেন। ওই বছরেই তদন্ত করে নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে আদালত নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এদিকে এ মাদক মামলায় জামিন পেয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে গত বছর পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দাযের করেন নুরুল আবছার। আদালতের নির্দেশে সে মামলা তদন্ত করে দুদক।
দুদকের তদন্তে বাদী নূরুল আবছারের বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। মূলত নুরুল আবছার একজন তালিকাভুক্ত মাদকব্যবসায়ী। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাদকব্যবসায়ীর তালিকায় তার নাম রয়েছে। বিদেশি মদসহ গ্রেফতার করাই পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাদেরকে হয়রানি করার জন্যই মূলত এ মামলা দায়ের করা হয় বলে গোয়েন্দা সংস্থা জানায়।
এতে পুলিশের বিরুদ্ধে নুরুল আবছারের অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। পরে আদালত পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ খারিজ করে দেন।
এর প্রেক্ষিতে দুদক স্বপ্রণোদিত হয়ে বাদি নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। নূরুল আবছার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির ধর্মবিষয়ক সাবেক সহ-সম্পাদক (পরে বহিস্কার)। একপর্যায়ে গত ৯ ফেব্রয়ারি গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে নুরুল আবছারকে কারাগারে পাঠানো হয়।