ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বান্দরবানের গহীন জঙ্গলে ভাল্লুকের হামলায় আহত দুই উপজাতিকে হেলিকপ্টারে আনা হল চমেকে

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

 

.

বান্দরবানের চিম্বুকপাড়া এলাকায় পাহাড়ী জঙ্গলের বন্য ভাল্লুকের আক্রমণে গুরুতর আহত দুজনকে হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে শিশু মঙ্গোলীও মুরং (৬) ও ইয়াং ওয়াই মুরং(৪৮) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৪ পদাতিক ডিভিশন এর উদ্যোগে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহায়তায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে তাদের চট্টগ্রামেপালিয়ে  আনা হয়েছে বলে জানান সেনাবাহিনী।

আহত মঙ্গোলীও মুরং(৬) এর বাবা জানায়, শিশুটি চিম্বুক পাড়া জঙ্গলের পাশে খেলাধুলা করছিল। হঠাৎ একটি হিংস্র ভাল্লুক আক্রমন করে শিশুটিকে। শিশুটিকে ভাল্লুকের আক্রমন থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে শিশুটির দাদা ইয়ং ওয়াই মুরং (৪৮)। ভাল্লুকটি দুজনকেই মারাত্মকভাবে আহত করে।

পরবর্তীতে আহত দুজনকে বান্দরবান রিজিয়নের আওতায় নিকটস্থ সেনাক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।

জিওসি,২৪ পদাতিক ডিভিশন, চট্টগ্রাম সেনানিবাস মহোদয় তৎক্ষণাৎ আহত দুজনকে যেকোনো ভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। সে প্রেক্ষিতে আজ দুপুর আড়াইটার দিকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রামে আনা হয়।

পরবর্তীতে তাদেরকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত মঙ্গোলীও মুরং (৬)র বাবা রিং রাং রাও মুরং (৩২) বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মানবিক কর্মকাণ্ডে পাহাড়ের দুর্গম জনপদের মানুষগুলো নতুনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে। তারা যেই গ্রামে বসবাস করেন, সেখান থেকে সড়কে যেতে হলে টানা ৫ ঘন্টা পায়ে হেঁটে যেতে হয়। নেই কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঝিরি-ঝরণা, খাল ও গিরিপথ পারি দিয়ে যেতে হয় তাদের । জীবিকার তাগিদে ওই পাহাড়ী জনপদে বসবাস করছেন তারা।

উল্লেখ্য যে,ইতিপূর্বেও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও বিজিবির যৌথ প্রচেষ্টায় গত ৩১ এপ্রিল ২০২০ সোনাপতি চাকমা এবং ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ জতনী তঞ্চংগ্যা নামে দুইজন মৃত্যুপথযাত্রী উপজাতি প্রসূতি নারীকে হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। পরে তারা ফুটফুটে বাচ্চা নিয়ে বাড়ি ফিরেন। বেঁচে যায় ২ নবজাতক ও মায়ের জীবন।আর্তমানবতার সেবায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print