চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন- ৫৯ ব্যাচের তৌফিকুর রহমান ইয়ন আতাউল্লা বোখারী, আরিফ হাসান, শাওন দত্ত (৫৭ ব্যাচ) ও আরাফ ইসলাম। এর মধ্যে তৌফিকুর রহমান ইয়নের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (০২ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে চকবাজার থানার চট্টেশ্বরী সড়কে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির সমর্থিত অনুসারি ছাত্রলীগ কর্মীরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরেই চমেক ছাত্রলীগের একক নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতারা। কিন্তু শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল এমপি হওয়ার পর বিশেষ করে চমেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হওয়ার পর তার অনুসারীরাও চমেকে অবস্থান সুদৃঢ় করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আগেও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ছাত্রাবাসের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘের্ষর ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষই পরষ্পরকে দোষারপ করছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া জানান, বিবাদমান ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মেডিকেল কলেজ ছাত্র হোস্টেল দখলকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে তিনি জানান। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
সংঘর্ষে ছাত্রবাসের বিভিন্ন কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে ছাত্রবাসে উঠাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ১৩ আগস্টও ছাত্রবাসে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। তারও আগে গত বছরের ১২ জুলাই চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারিতে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন। এরপর নওফেলের অনুসারী চমেক ছাত্রলীগের নেতা খোরশেদুল আলম বাদি হয়ে ১১ চিকিৎসকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। নাছির অনুসারীরাও নওফেল অনুসারীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন।
