ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নোয়াখালীতে মেয়েকে দিয়ে যৌন ব্যবসা: মা গ্রেফতার, চেয়ারম্যান আসামী

..

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

..

নোয়াখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নে মাদ্রাসা ছাত্রীকে একাধিক বার গণধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী বিউটি আক্তারের বিরুদ্ধে এবার মামলা করেছে পুলিশ। মামলার পরপরই মা বিউটিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অভিযোগ রয়েছে বিউটি নিজের মেয়ে(১৭) কে জোর পূর্বক যৌন ব্যবসায় বাধ্য করে। মামলায় বিউটি ছাড়াও আলাইয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানসহ আরও ৫জনকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন।

আজ মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

.

পুলিশ জানায়, মামলায় অভিযুক্ত ১নং আসামী বিউটি গত বৃহস্পতিবার রাতে তার মেয়েকে (১৭) ধর্ষণ, বিবস্ত্র করে ছবি ধারণ ও অপরহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চার জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে আসামী ফয়সাল, সাইফুল ইসলাম ইমন ও জোবায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সাভারের পূরগাও এলাকার রুবি নামের একজনের বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ভিকিটিম অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ এ বিচারকের কাছে স্বেচ্ছায় ২২ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।

পুলিশ আরও জানায়, জবানবন্দি ও মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জানা গেছে ২০১৮ সালে ভিকটিম ধীতপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়া লেখা করতো। ২০১৭ সাল থেকে ২৮ ডিসেম্বর ২০২০সাল পর্যন্ত ভিকটিমকে দিয়ে তার মা বিউটি আক্তার জোর পূর্বক টাকার বিনিময়ে দেহ ব্যবসা করাতো। বিভিন্ন লোকের থেকে টাকা নিয়ে নিজের মেয়েকে কখনো নিজ বাড়ীতে, কখনো ঢাকা চট্টগ্রামের যৌন কাজের জন্য পাঠাতো বিউটি। বিষয়টির প্রতিবাদ করলে কয়েকবার ভিকটিমের হাত পা বেধে মারধর করে বিউটি। আগের মামলার সাক্ষী ও বর্তমান মামলার আসামী মোজ্জামেল হোসেন বিউটিকে টাকা দিয়ে ঘরে এসে ওইছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো। একরাতে মোজাম্মেলের সাথে যৌন কাজে লিপ্ত হলে স্থানীয় ফয়সাল ও জোবায়ের দেখে তাদের দুইজনের বিবস্ত্র ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। পরে তারা মোজাম্মেলকে বের করে দিয়ে ওই রাতে ভিকটিমকে গণধর্ষণ করে ফয়সাল ও জোবায়ের। পরে বিউটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের থেকে টাকা নিয়ে তার বাড়ীতে পাঠায় ওইছাত্রীকে। চেয়ারম্যান আনিস নিজ বাড়ীতে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে ভিকটিমকে।

এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবীতে মঙ্গলবার বিকালে আলাইয়াপুর ৬নং ওয়ার্ড নাফিতের পোল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও হীরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মনববন্ধন করে স্থানীয় এলাকাবাসী।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিম ও গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জবানবন্দির আলোকে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে ওইছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন, আটক রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্যকরণ, অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে যৌন শোষণ ও স্থানান্তরিত করে যৌনকর্ম করার অপরাধে বিউটি ও চেয়ারম্যানসহ ৬জনের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত বিউটি কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান আনিসসহ মামলার অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বেগমগঞ্জ থানার ওসি কামরুজ্জামান সিকদার জানান, মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, অপরহণ, নগ্ন ভিডিও ধারণের ঘটনায় আগে দুটি ও মানব পাচার দমন আইনে আরও একটি মামলা হয়েছে। মামলায় মোট ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print