
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে এক হাজার ৭৫৯জন রোহিঙ্গা শরণার্থী ভাসানচরে পৌঁছেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৪মার্চ) দুপুর ২টায় নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে এসে পৌঁছায়। এ নিয়ে ভাসানচরে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়ালো।
এর আগে, সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ ১৭৫৯ জন রোহিঙ্গা নিয়ে ভাসান চরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তাদের মধ্যে ৪৪৫ জন পুরুষ, ৫১৬ মহিলা ও ৭৯৮ শিশু রয়েছে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম বলেন, এক হাজার ৭৫৯জন রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষা শেষে গাড়িতে করে ওয়্যার হাউজে সমবেত করা হয়েছে। পরে সেখানে তাদেরকে ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়। ব্রিফ শেষে তাদের ভাসানচরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়। এ সময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

কক্সবাজারের আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দফায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৯ হাজার ৫শ’ ৪০ জন রোহিঙ্গা। প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০জন রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন ২ হাজার ১৪জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করে। এবার মোট ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকাদের মাঝ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করার পরিকল্পনায় কাজ করছে সরকার। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত করা ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ক্লাস্টারে তাদের রাখা হয়।