ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নিখোঁজ নয়, চট্টগ্রাম কারাগারের দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে বন্দি রুবেল

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

নিখোঁজ নয়, কারাবিন্দ আসামী মূলত কারাগারের দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে চট্টগ্রাম কারাকর্তৃপক্ষ। পালিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কারা কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি।

এর আগে দিনভর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দিয়ে ড্রেন, সেফটিক ট্যাংকেসহ কারাগারের সর্বত্র তল্লাশি চালানো হয়।

আরও খবর: চট্টগ্রাম কারাগারে হত্যা মামলার আসামি নিখোঁজ: থানায় জিডি

সোমবার (৮ মার্চ) রাত ৯টার দিকে তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনার ডিআইজি প্রিজন ছগীর মিয়া জানিয়েছেন, কারাবন্দি রুবেল গত ৬ মার্চ ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে কারাগার থেকে পালিয়েছে। কারা অভ্যন্তরে দক্ষিণ পাশে সীমানা লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত হওয়ার কথা জানান তিনি।

ডিআইজি ছগীর মিয়া জানান, অন্যান্য বন্দিদের সাথে তাকে রাখা হয়েছিল কর্ণফুলী ভবনের (১৫ নম্বর পানিশমেন্ট ওয়ার্ডের) ছয় তলায়। সে যে বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে অপরাধমূলক কাজ করে তাদের চব্বিশ ঘণ্টার জন্য সেখানে রাখা হয়।

তিনি আরো বলেন, সিসিটিভিতে দেখা গেছে, ৬ মার্চ ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে কারাগারের কর্ণফুলী ভবনের ৫ তলার ১৫ নম্বর কক্ষ থেকে বের হন। সেখান থেকে বের হয়ে বাইরের পানির ট্যাংক থেকে হাত মুখ ধুয়ে নেন। এরপর ওই ভবন থেকে নীচে নেমে সাঙ্গু ভবনের পাশে অবস্থিত ফাঁসির মঞ্চের দিকে চলে যান। এরপর থেকে তার আর উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে না সিসি ক্যামেরায়। তাই তদন্ত কমিটির ধারণা, ফাঁসির মঞ্চের পাশ দিয়ে কারাগারের উচু দেওয়াল টপকেই হাজতি রুবেল পালিয়ে গেছেন।

এদিকে সোমবার সকালের দিকে তদন্ত দল কারাগারে প্রবেশ করে। এর তদন্ত টিম ডিআইজি প্রিজন কার্যালয়ে যান। পরে কারাগারের অভ্যন্তরে তারা প্রবেশ করেন। সমন্বিতভাবে সব কিছু মাথায় রেখে তদন্ত কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান।

সেই সাথে রুবেল কারাগারের অভ্যন্তরে কোথাও আছে নাকি বের হয়ে গেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ফায়ার সার্ভিস দিয়ে ম্যানহোলসহ বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালায়। সকাল ১০টা থেকে শুরু করে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালানো হয়।

নিখোঁজের ঘটনায় খুলনার বিভাগের ডিআইজি প্রিজন ছগীর মিয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার জেল সুপার ইকবাল হোসেন ও বান্দরবান জেলার ফোরকান ওয়াহিদকে সদস্যও করা হয়। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রির্পোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার কারাগার থেকে বন্দি ফরহাদ হোসেন রুবেল নিখোঁজ হন বলে জানায় কারাকর্তৃপক্ষ। ওই দিন নগরীর কোতোয়ালী থানায় জিডি করা হয়।

পলাতক আসামী রুবেল সদরঘাট থানার এসআরবি রেল গেট এলাকায় ৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে তুচ্ছ ঘটনায় আবুল কালাম আবু নামের এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে বুকে ছুরিকাঘাত করেন। পরদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল কালাম হাসপাতালে মারা যান। ৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে হত্যার অভিযোগে ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রি পাড়া থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে সদরঘাট থানা পুলিশ। ওই মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print