
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জায়গা-জমির বিরোধের জের ধরে সাবের আহমদ (৪৭) নামে এক আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ায় চাচাতো ভাই দেলোয়ারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সাবেরের ওপর হামলা চালায়। এসময় রাম দা দিয়ে কুপিয়ে সন্ত্রাসীরা শরীর থেকে সাবেরের দুই পা বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
নিহত সাবের আহমদ পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং এবং একই এলাকার মৃত আব্দুল মাবুদের পুত্র।
স্থানীয়রা জানান, চাচাতো ভাই দেলোয়ারের সাথে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাবের আহমদকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করা হয়। ওই কোপানোর ঘটানার সময় আরও ৪-৫ জন সন্ত্রাসী ছিল। হামলার সময় সাবের আহমদ বাড়ির পাশে পুকুর খননে নিয়োজিত স্কেভেটর চালকের সাথে কথা বলছিলেন। পুলিশ হামলার পর পর ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে হামলাকারী দেলোয়ারের পুত্র মো. হাসানকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদ বলেন, সাবের আহমদের দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরের পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালীর রামদাস পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোস্তফা কামাল বলেন, সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে দুই পা হাঁটুর নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। আহত সাবেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত মো. হাসান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল কবীর জানান, নিহত সাবের আহামদের স্ত্রী আমেনা খাতুন শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-২৬। হত্যা মামলার অন্যতম আসামী দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ হাসান (১৯)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।