
চট্টগ্রামে র্যাব, পুলিশ, বিজিবির কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমণকে কেন্দ্র করে গতকাল হাটহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ মাদ্রাসা ছাত্র নিহতের প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার হরতালসহ আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
তার অংশ হিসেবে আজ শনিবার (২৭ মার্চ) জোহরের নামাজের পর নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ পরবর্তী একটি মিছিল রের করে তারা। মিছিলটি জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠ থেকে শুরু হয়ে ওয়াসা মোড় ঘুরে কাজীর দেউড়ির আলমাস সিনেমা মোড় ঘুরে আবার মসজিদ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

এদিকে মিছিল শেষ করে চলে যাওয়ার সময় নগরীর বেটারী গলির সামনে ছাত্রলীগ যুবলীগের অস্ত্রধারী নেতাকর্মীরা হেফাজত কর্মীদের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি জানান, পুলিশের উপস্থিতে স্থানীয় কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীররা আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করেছে। এতে ৮/১০ কর্মী আহত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা, ছুরি, কিরিচ নিয়ে তারা মহড়া দিয়েছে পুলিশের সামনে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা ৪ খুনের জন্য দায়ী পুলিশের শাস্তি, বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং আগামীকাল দেশব্যাপী হরতাল সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।

হেফাজত ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম বিক্ষোভ মিছিল শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও মহানগর সেক্রেটারি লোকমান হাকিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হেফাজতে ইসলাম নেতা মির্জা ইয়াছিন, মহানগর নেতা ইউছুফ বিন ইয়াকুব, মাওলানা শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সায়েম উল্লাহ, আলী উসমান।
এদিকে হেফজতে ইসলামের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নগরীর লালখান বাজার, ওয়াসা, কাজীর দেউড়ি, দামপাড়া এলাকায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও বিজিবি। পুলিশের জল কামান, বিজিবির সাজোয়া যানও সমাবেশের আশে পাশে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এছাড়া নগরীতে টহল দিচ্ছে র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা।