
হরতালে বাধা দিলে লাগাতার কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা।
শনিবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা এ ঘোষণা দেন। তাঁরা বলেন, অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটলে সরকারকে এর দায় নিতে হবে।
এসময় হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি ও খেলাফত মজলিশের শায়খুল হাদিস মামুনুল হক বলেন, জনতার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, জনতা রাজপথে নেমে এলে হেলমেট বাহিনী আর পালানোর জায়গা খুঁজে পাবে না।
তিনি বলেন, আজ ও আগামীকাল আমাদের কর্মসূচিতে যদি সন্ত্রাসী পেটোয়া বাহিনী হামলা করে বা বাধা দেয়; যদি সন্ত্রাসের ভয়াল রাজত্ব কায়েম রাখার চেষ্টা করে তবে গোটা বাংলাদেশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। আর এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
মামুনুল হক বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন যে এমন বিষাদময়, দুঃখজনক হবে তা ভাবিনি। আমাদের সন্তানদের রক্তে মানচিত্র রক্তাক্ত হয়েছে। আমরা কেউ তা চাইনি। আমরা শুরু থেকেই নরেন্দ্র মোদিকে এনে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানকে কলঙ্কিত না করার জন্য সরকারকে সতর্ক করেছিলাম। তাকে বাংলাদেশে আনতে নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু জানি না সরকার কোন দায়ে দায়বদ্ধ হয়ে তাকে আনলেন।’
তিনি বলেন, আমরা সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপনের প্রতি সম্মান রেখে কোনো কর্মসূচি দেইনি। কিন্তু বিনিময়ে আমরা কী পেলাম? রক্ত আর লাশ। বাধ্য হয়ে হেফাজত আমির কর্মসূচি দিয়েছেন, রাজপথে নেমে এসেছেন।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী বলেন, মোদির সফরকে কেন্দ্র করে ‘শহীদ’দের রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে। হরতালে বাধা দিলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।
ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ‘আগামীকাল মাঠে থাকব। গাড়ির চাকা ঘুরবে না। অফিস–আদালত বন্ধ থাকবে।’
বিক্ষোভ কর্মসূচির সভাপতি হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতালে বাধা দিলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।