
আগামী ৪ মের মধ্যে সরকারী সিদ্ধান্ত না এলেও ৫ মে থেকে গণপরিবহন চলাচল করা হবে বলে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহনের মালিক-শ্রমিকেরা।
আজ রবিবার (২ মে) চট্টগ্রামের স্টেশন রোডে বিআরটিসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সড়ক পরিবাহন নেতারা। সংবদ সম্মেলনে গণপরিবহন চালুর অনুমতি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিবহন মালিকদের ব্যাংক ও কিস্তির সুদ মওকুফ সহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনে বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরে গত এক বছরের ব্যাংকের ঋণ কিস্তির সুদের টাকা মওকুফসহ হয়রানি ও পুলিশের মামলা বন্ধ, গাড়ির ডকুমেন্ট হালনাগাদের সময় বৃদ্ধির দাবি।
পরিবহন নেতারা অভিযোগ করেন, লকডাউনে শুধু গণপরিবহন বন্ধ রেখে কলকারখানা, শপিংমলসহ সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে এবং গণপরিবহন বন্ধ রেখে মোটরসাইকেল, ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সে পুলিশের সামনে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গণপরিবহন রাস্তায় নামলে সরকারকে বছরে ২৩ হাজার ১০০ টাকা অগ্রিম ট্যাক্স প্রদান করতে হয়। বর্তমানে লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করছেন। দৈনিক পাঁচ কোটি টাকার আয় থেকে শ্রমিকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মো. মূছা, সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ।