
চট্টগ্রাম মহানগরীর বেসরকারী পার্কভিউ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এক মৃত রোগীর চিকিৎসা সেবা নিয়ে বকেয়া বিল না দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উঠছে বিএনপির বিতর্কিত নেত্রী ডা: লুসি খানের বিরুদ্ধে। বিল পরিশোধের জন্য বারবার তাগিদ দেওয়ার পর বিল পরিশোধ না করায় ডা: লুসি খানকে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে মামলার করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানায়।
ডা. লুসি খান বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগরীর সাবেক সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সম্প্রতি বিএনপির মহানগর কমিটির আহবায়ক ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাতের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করে আলোচনায় আসেন এই নারী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামীম আহমেদ নামে এক রোগী চট্টগ্রাম নগরীর পার্কভিউ হাসপতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২০ দিন চিকিৎসাধীন থেকে গত ১৯/০৮/২০২০ তারিখে মারা যান। রোগীর হাসপাতালের মোট বিল আসে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা। যারা মধ্যে ৬ লাখ টাকা ডিসকাউন্ট দিয়ে বিলা ধরা হয় ২২ লাখ টাকা। এরমধ্যে রোগীর স্বজনরা ১৮ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে। বাকী চার লক্ষ টাকা ডা: লুসি খান পরিশোধ করবে জানিয়ে দুইটি চেক প্রদান করেন। যাহার হিসাব নং-এবি ব্যাংক ৪১২৫-৪৫৩৩৪৭- ৩১৭, চেক নং- ৮৯৮৬২২১। পরবর্তীতে চেকগুলো ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তপক্ষ ডা: লুসি খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আজ দিবেন কাল দিবেন বলে সময় ক্ষেপণ করেন পার্কভিউ কর্তৃপক্ষ। চেকের মেয়াদও বর্তমানে অতিক্রান্ত। আইনি নোটিশে পার্কভিউ হাসপাতাল ডা: লুসি খানের বিরুদ্ধে মৃত রোগীর টাকা আত্নসাতের অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পার্কভিউ হাসপাতালের লিগ্যাল এ্যডাভাইজার সাইফুল ইসলাম পাঠক ডট নিউজকে বলেন, রোগীর মোট বিল আসে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা, মোট বিল থেকে ৬ লাখ টাকা ডিসকাউন্ট করে ২৪ লক্ষ টাকা বিল করা হয়। রোগী যাওয়ার সময় ১৮ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। বাকী ৪ লক্ষ টাকা ডা: লুসি খান পরিশোধ করবেন জানিয়ে দুইটি চেক প্রদান করেন। ব্যাংকের চেকগুলো পাঠালে তার ডিজঅনার হয়। তারপর এ বিষয়ে রোগীর স্বাজনদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা ডা: লুসি খানকে টাকা দিয়ে দিয়েছি।
ডা: লুসি খানের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি আজ দিবো কাল দিবো বলে তালবাহানা করেন। যা দন্ডবিধি আইনের ৪০৬ ও ৪২০ ধারার পরিপন্থি ও প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের শামিল। আমরা এই বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বিষয়টি স্বীকার করে ডা: লুসি খান পঠক ডট নিউজকে বলেন, আমি আইনি নোটিশ পেয়েছি। নোটিসের জবাবাও দিয়েছি। আমি তাদের বলেছি প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করে দিবো।