ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সিনোফার্মের সঙ্গে টিকা আমদানিতে বাংলাদেশের কোনো চুক্তিই হয়নি: চীনা উপরাষ্ট্রদূত

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

আবারও চীনের টিকা প্রাপ্তি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। টিকার দাম প্রকাশ করা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংকটের কথা বললেও শনিবার (০৫ জুন) ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির উপরাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান জানান ভিন্নকথা। তিনি জানান, সিনোফার্মের সঙ্গে টিকা আমদানিতে এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তিই হয়নি বাংলাদেশের।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অদক্ষতা ও কূটনৈতিক ব্যর্থতায় টিকা আমদানিতে বারবার হোঁচট খাচ্ছে বাংলাদেশ। এদিকে চীনের উপরাষ্ট্রদূত আরও জানান, আগামী ১৩ জুনের মধ্যে দেশে আসছে উপহারের ৬ লাখ ডোজ টিকা।

করোনা সংকট মোকাবিলায় চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের সঙ্গে টিকা আনার আলোচনা শুরু হয় বেশ কয়েক মাস আগে। বাংলাদেশ-চীনের টিকা কূটনীতির প্রক্রিয়ার মাঝেই বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং দাবি করেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে না পারা ও সময়ক্ষেপণের কারণে টিকা কিনতে দেরি হয়েছে বাংলাদেশের।

সঙ্গে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জোট-কোয়াডে যোগ দেওয়া নিয়ে তার মন্তব্যের কূটনীতির ভাষায় জবাব দিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও।

এরপরে টিকা নেয়ার প্রক্রিয়ায় আলোচনায় আসে অপ্রকাশযোগ্য চুক্তি। যার জন্য চীনা ভাষায় লেখার জায়গায় সই করে ফেলা একধরনের চাহিদাপত্র দিয়ে পরে তা কমানোসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক নানা দুর্বলতার কথাও উঠে আসে জনসম্মুখে।

অপ্রকাশযোগ্য চুক্তি শর্ত লঙ্ঘন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার জানিয়ে দেন ডোজপ্রতি ১০ মার্কিন ডলারে বাংলাদেশকে দেড় কোটি করোনা টিকা দেওয়ার চুক্তি করেছে চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ- সিনোফার্ম।

এতে চীনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয় ক্ষোভ। পরে চীনের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে হয় বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একেএম আবদুল মোমেন বলেন, চীন বাংলাদেশকে জানিয়েছে বিষয়টি। আর আমরা বলেছি, ভবিষ্যতে এ রকম আর হবে না।

তবে সর্বশেষ বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে জানান, চীন সরকার তো দূরের কথা, সিনোফার্মের সঙ্গেই এখনো টিকা কেনার কোনো চুক্তি হয়নি বাংলাদেশের।

এ অবস্থায় আবারও টিকা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। আর এ পরিস্থিতির জন্য কূটনৈতিক ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রিদওয়ানুর রহমান বলেন, আমরা যত কথা বলছি সেই কাজ করছি না কিন্তু, এটাই হচ্ছে সারমর্ম। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলো তাদের সঙ্গে অর্থবহ চুক্তি করা উচিত। আর চুক্তিবদ্ধ হওয়া উচিত, যেটা আজকে দিতে পারছে না এক মাস বা দু’মাস পর যেন দিতে পারে এমনটা চুক্তিবদ্ধ হওয়া উচিত।

আরেক বিশেষজ্ঞ বলেন, একদিকে যেমন আমরা চীনের টিকা উপহার হিসেবে পেয়েছি হয়তো সামনে আরও পাব। কিন্তু উপহারের টিকা দিয়ে কিন্তু বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা যাবে না। চীনের সঙ্গে চুক্তি করে টিকা কেনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা কিন্তু কোনো মতপার্থক্য দেখছি না, চীনও চাচ্ছে তারা টিকা বিক্রি করতে আর বাংলাদেশও সেখান থেকে আমদানি করতে চাচ্ছে, সেহেতু বাংলাদেশের এ মুহূর্তে অন্য কোনো সোর্স নেই তাই চুক্তি করতে হবে।

চীনের ডেপুটি চিফ অব মিশন শনিবার আরও একটি ফেসবুক পোস্টে জানান, ১৩ জুনের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে চীনের উপহারের আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা।

সর্বশেষ

চট্টগ্রাম বন্দর ও কর্ণফূলী নদীতে যৌথ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া

আগামী নির্বাচনে বডি ক্যামেরা, সিসিটিভি ও ড্রোন ব্যবহারের চিন্তা করছে সরকার

চুয়েটে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে শিক্ষার্থী বহিষ্কার

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print