ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামকে ওর্য়াল্ড ওয়াইড সিটিতে রূপান্তর হবে

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

unnamed-2-1
.

চট্টগ্রামে উদ্বোধন হয়েছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এন্ড এক্সপোর্ট ফেয়ার-২০১৬ (বিআইটিইএফ)। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে এ মেলার উদ্বোধন করেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

নগরীর নগরীর হালিশহর আবাহনী মাঠে অনুষ্ঠিত এ মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন- বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ যে গৌরব অর্জন করেছে তা বর্তমান সরকার এবং সফল ব্যবসায়ীদের জন্যই হয়েছে। বর্তমান সরকার ব্যবসায়ী বান্ধব। তাই সরকার ব্যবসায়ীদের ব্যপারে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন।

বর্তমান সরকারকে উন্নয়ন বান্ধব সরকার উল্লেখ্য করে মন্ত্রী জাবেদ বলেন, যে উন্নয়ন চট্টগ্রামে হচ্ছে তা প্রমাণ করে আগামীতে চট্টগ্রাম ওর্য়াল্ড ওয়াইড সিটিতে রূপান্তর হবে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্বে নেন বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন।

তিনি বলেন, দেশে এখন উন্নয়নের হাওয়া বইছে। সেই উন্নয়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোড চালু, ইকুনোমিক জোন,ডিপ সী-পোট, টার্নেল সহ আগামীতে এক্সপ্রেস রোড এর কাজ নিয়ে ৬/৮ লেইন সড়ক করে চট্টগ্রামকে ওর্য়াল্ড ওয়াইড সিটিতে এগিয়ে নিতে সকল ব্যবসায়ী মহলকে সহায়তা করার আহবান জানান।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপত্বিতে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও জাতীয় পর্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মেহজাবিন মোরশেদ এমপি।

ভূমি প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো বলেন, চট্টগ্রাম হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। আর আমাদের সরকার এই চট্টগ্রামের প্রতি খুবই আন্তরিক। চট্টগ্রামের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য একটি বড় পাওয়া হলো চেম্বারগুলো। যেখানে দেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো একত্রে কাজ করে থাকে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারে হাত ধরে বাংলাদেশ দিনদিন উন্নয়নে পরিনত হচ্ছে। বাংলাদেশ সকল উন্নয়ন সমান গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশের রুপ পরিবর্তন করেছেন। আর সকল কিছু হয়েছে ব্যবসায়ীদের জন্যই।
তিনি আরোও বলেন, শুধু মাত্র ঢাকা কিংবা একটি স্থানেই উন্নয়ন হয়েছে তা নয়। আমি মন্ত্রী হিসেবে সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি কি পরিমাণ উন্নয়নের জোয়ার চলছে বাংলাদেশে তা কেউ দেখা ছাড়া বলতে পারবেনা।

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে যে সমস্যা গুলো হচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রী নিজেই সমাধানের জন্য কাজ করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে তিনি অচিরেই চট্টগ্রাম বন্দরের সকল সমস্য সমাধান করবেন। চট্টগ্রাম বন্দরের সমস্য সমাধান না হলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে। প্রধানমন্ত্রী এ চট্টগ্রামের জন্য খুবই আন্তরিক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল চেম্বারগুলোর মাধ্যে ২০০৯ সালে যাত্র শুরু করা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি দেশের অন্যতম একটি চেম্বার। যারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে মূলত তারাই এই চেম্বার পরিচালনা করছে। এ চেম্বারের অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা বিদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করছে এবং বিভিন্ন পন্য সামগ্রী রপ্তানি করে যাচ্ছেন। এটা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় পাওয়া। প্রতিষ্ঠার আট বছরের মাঝে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার যে স্থানে গিয়ে দাড়িয়েছে দেশে অন্য কোন চেম্বার এত দ্রুত এগিয়ে যেতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মেহজাবিন মোরশেদ এমপি বলেন, বর্তমান সরকার এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যন হুসেন মু এরশাদের চেস্টায় বাংলাদেশের অর্থনীতি যখন এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনি এদেশের কিছু লোকের কারণে দেশের ব্যবসাকে পেট্টোল বোমা ও হরতাল দিয়ে বন্ধ করে রাখতে চায়। কিন্তু বর্তমান সরকার তা পতিহত করে দেশকে উজ্জল নক্ষত্র দেখিয়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠান মালিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আরো বেশি কর্মসংস্থান তৈরী করুন। দেশকে বেকারত্ব দুর করতে আপনাদের সহযোগিতা দরকার।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিআইটিইএফ আহ্বায়ক আমিনুজ্জামান ভূঁইয়া, সহ আহ্বায়ক আহ্বায়ক আলী হোসেন আকবর আলী এবং এ.এম.মাহবুব চৌধুরী ; এ.এম.মাহবুব চৌধুরী মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন আলম, মোহাম্মদ আব্দুস সালাম , মোহাম্মদ এনামুল হক, সৈয়দ মোহাম্মদ আবু তাহের এবং নারী উদ্যোক্তা সুলতানা শিরিন আক্তার প্রমুখ।

আগামীকাল ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। এক লাখ ৭০ হাজার বর্গফুট জায়গায় মেগা প্যাভিলিয়ন, মিডিয়াম প্যাভিলিয়ন, স্ট্যান্ডার্ড প্যাভিলিয়ন, ব্যাংক এন্ড ইনসুরেন্স, রেস্টুরেন্ট, সুদৃশ্য টাওয়ার, দৃষ্টি নন্দন ফোয়ারাসহ ১৮৪টি স্টল রয়েছে।

মেলায় প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। দেশীয় পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মেলা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারবৃন্দকে মেলা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা টিকেট কাউন্টার থাকবে এবং আলাদাভাবে টয়লেটের সুব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সাথে অজু করার স্থান ও নামাজের ব্যবস্থাও থাকবে। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ১ম, ২য় ও ৩য় বিবেচিত বুথ ও প্যাভিলিয়নকে বিশেষ পদক প্রধান এবং মেলায় অংশ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে সনদপত্র দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print