
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত স্ত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ফেলে স্বামী পালিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার স্ত্রী আসমা আক্তারকে (৩৮) হাসপাতালে রেখে স্বামী মোজাম্মেল হক পালিয়ে যান। বুধবার রাতে আসমা মারা যান। তার বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এলাকার মৌলভীপাড়ায়।
চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা আক্রান্ত আসমাকে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বামী মোজাম্মেল। তাকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর কয়েক ঘণ্টা আসমার পাশে মোজাম্মেলকে দেখা গেলেও এরপর তিনি উধাও হয়ে যান। আসমার ওষুধপত্র কেনার জন্য নার্স ও ওয়ার্ডবয়রা তাকে খুঁজে পাননি। মঙ্গলবার সারা দিন আসমার স্বামী বা কোনো স্বজনকে হাসপাতালে দেখা যায়নি। তার খোঁজখবর নিতেও কেউ আসেননি। বুধবার রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান। রেজিস্ট্রারে লেখা মোজাম্মেলের ফোন নম্বরে কল দিলে তা নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আসমার লাশ দাফনের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টামকে দায়িত্ব দিয়েছে। কোয়ান্টাম কর্মকর্তা কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, আমরা লাশ বুঝে নিয়েছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরেফিন নগরের কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলাব্রত বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আসমাকে ভর্তির সময় রেজিস্ট্রারে স্বামী হিসাবে মোজাম্মেল হকের নাম লেখা হয়। একটি মোবাইল ফোন নম্বরও দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নম্বরে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার স্বজনদের সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। চমেক মর্গে তার লাশ রাখা হয়। পরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টামের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।