
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের যে কারখানায় গতকাল আগুন লেগেছিল, সেখানে অন্তত ৫৫ জন মারা গেছে বলে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস আজ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দেবাশিষ বর্ধন ঘটনাস্থল থেকে আজ শুক্রবার বিকেল জানান, “অন্তত ৫৫টি মরদেহ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে।”
তিনি জানান, ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধারকাজ শুরু হবে। তালাবদ্ধ থাকায় চতুর্থ তলার কোনো শ্রমিক বের হতে পারেননি। তারা দগ্ধ হয়ে ভবনের ফ্লোরেই মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা রূপগঞ্জ থানার একজন পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন যে ওই কারখানায় কাজ করতেন, এমন অনেকের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন।
রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় একটি ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ফ্যাক্টরির ভবনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে আগুন লাগে।
আগুন লাগার পর সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর আগে বলা হয়েছিল যে আগুনের ঘটনার পর তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। বৃহস্পতিবার বিকালে সেজান জুস কারখানায় আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে।
আজ শুক্রবার ভোরের দিকে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু সকালে ভেতরে আবার আগুন বেড়ে যায়। সকাল সোয়া ১০টার দিকেও ছয় তলা কারখানা ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার সামনের দিকে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
প্রথম দিকে আগুনে পুড়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর জানায় ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় আহত হন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। এর মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কারখানার আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেকে। অনেকে ভেতরে আটকা পড়েন।