ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

লকডাউনে চাকুরি হারিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

লকডাউনের কারণে চাকরি হারিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার খোকন হোসেন (২৬ নামে এক যুবক। চাকুরিচ্যূত হওয়ার পর বাড়ী ফিরে পারিবারিক কলহে স্ত্রী তাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। এ ঘটনায় তিনি চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের।

খোকন হোসেন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে। শনিবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাতের কোন এক সময় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

আজ রবিবার সকালে ঘরের দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য লতিফা বানু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে খোকনের বাড়ি গিয়েছিলাম। সে সময় তার লাশ ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেন। প্রতিবেশী শামীম হোসেন বলেন, খোকন ঢাকায় একটি কারখানাতে চাকরি করতেন। লকডাউনের কারণে তার চাকরি চলে যায়। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে এসে চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। খোকনের বাবা কামাল হোসেন বলেন, আজ সকালে তার ঘরের দরজা না খোলায় তাকে ডাকাডাকি করি।

ভেতর থেকে কোনো সাড়া আসছে না। পরে জানালার ফাঁক দিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। তিনি বলেন, তার ছেলে ঢাকায় একটি কারখানায় চাকরি করত। সেখানে একটি মেয়েকে সে পছন্দ করে বিয়ে করে। তাদের একটি ছেলে সন্তান আছে। লকডাউনে ছেলে চাকরি হারিয়ে বাড়ি আসলে তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শুরু হয়। সে সূত্রে গত কয়েকদিন আগে আগে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। এতে সে দিশেহারা অবস্থায় ছিল। আর সে কারণে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে ওই পরিবারের দাবির কারণে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার লকডাউনে চাকরি হারিয়ে ও পারিবারিক কলহের জেরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আজিজুল হাকিম টনিক (৪০) আরও এক ব্যাক্তি আত্মহত্যার খবর পাওয়া গিয়েছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত আজিজুল বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা ইউনিয়নের সালাইনগর গ্রামের আজহার আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজিজুল হাকিম টনিক একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কোভিড লকডাউনে চাকরি হারিয়ে গত রমজান মাসেই তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর গ্রামের একটি মোড়ে তিনি ভেটেরিনারি ওষুধের দোকান দেন। দোকান করলেও চাকরি হারিয়ে তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিলেন।

 

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print