
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দা দিয়ে কুপিয়ে ফাতেমা বেগম (৪৬) নামে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় বাধা দিতে গেলে আরও ৩ নারীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাবিজ কবজ ও ঝাড় ফুককে কেন্দ্র করে আজ সোমবার সকালে উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড দাসপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত যুবক এহসান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। এহসান ৬ নম্বর ওয়ার্ড মাইজ পাড়া এলাকার মো. ইব্রাহীম প্রকাশ বদর আমিনের ছেলে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শীলকূপে চারজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার জড়িত এহসান নামে এক যুবককে পুলিশ আটক করেছে। আহতদের মধ্যে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শীলকূপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড দাসপাড়া নূর উদ্দীন সিকদার বাড়ির ফাতেমা বেগম ঝাড় ফুঁকের কাজ করে। স্থানীয় যুবক এহসান এক মেয়েকে ভালোবেসে তাকে বশে আনার জন্য গত এক বছর যাবত ডাব ডড়া ও তাবিজ কবজ নিয়ে যেতো। কিন্তু এতে কাজ না হয়ে উল্টো ডাব পড়া পানি পান করে এহসানের শরীর খারাপ হয়। এতে সে ফাতেমা নামের কবিরাজকে শিক্ষা দিতে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় তার বাড়ীতে যায়। এ সময় ফাতেমা আবার এহসানকে ডাব খেতে দিলে ডাব কাটার সময় দা দিয়ে ফাতেমাকে কোপাতে থাকে। ফাতেমার চিৎকারে তার মেয়ে পাখি আক্তার (২০), প্রতিবেশী রাবেয়া বেগম (৩৫) ও ১০ বছরের বৃষ্টি এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে এহসান।
এ ঘটনায় জড়িত মাইজপাড়ার যুবক এহসানকে আটক করেছেন স্থানীয়রা।
আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে বাঁশখালীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে ফাতেমার মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, সকাল ১০টার দিকে বাঁশখালী থেকে আহত চারজনকে হাসপাতালে আনা হলে এদের মধ্যে ফাতেমা বেগমকে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্য তিনজন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।