ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মিতু হত্যার পলাতক ৩ আসামীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

নিহত মিতু ও দুই আসামী ভোলা ও মুছা।

চট্টগ্রামে আলোচিত সাবেক এসপি বাবুল আকতারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার পলাতক ৩ আসামী কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা ও মোহাম্মদ কালুর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।

আজ সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ চাকমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের ভার্চুয়াল আদালত।

পলাতক এ ৩ আসামি হলেন- কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা ও খায়রুল ইসলাম কালু। এর মধ্যে এহতেশামুল হক ভোলা জামিন নেওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, মাহমুদা হত্যার তিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুনানি শেষে আদালত তিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। আদালতের আদেশটি স্থল ও বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা বলেন, ‘মিতু হত্যার পুরো রহস্য উন্মোচনের জন্য এই তিন আসামিকে গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে যাতে তারা কোনোভাবেই বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলাম। আদালত শুনানি শেষে আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

তিনি জানান, তিন আসামির মধ্যে মুসা এবং কালু সরাসরি কিলিং স্কোয়াডের সদস্য। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে পিবিআই। আর ভোলা এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল সরবরাহ করেছিল। ঘটনার পর পিস্তলসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত মিতুর স্বামী এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের বিশ্বস্ত সোর্স ছিলেন মুসা। মুসাকে দিয়ে বাবুল আকতার তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার পর গত ১২ মে পিবিআই বাবুল আকতারকে গ্রেপ্তার করে। সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার বর্তমানে ফেনী কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

তবে মুসা ও কালু ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী পান্না আকতার দাবি, ঘটনার পর পরই পুলিশ পরিচয়ে মুসাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

সম্প্রতি পান্না আকতার এই হত্যা মামলায় সাক্ষী হিসেবে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। অপরদিকে, ভোলা একবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও পরবর্তীতে জামিনে এসে পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে নগরীর জিইসি মোড়ে দুর্বৃত্তদের গুলি এবং ছুরিকাঘাতে খুন হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ সময় তার ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। সন্তানের সামনেই দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছিল। এ ঘটনায় প্রথমে বাবুল আকতার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথম পর্যায়ে এটিকে জঙ্গি হামলা হিসেবেই ধারণা করা হয়েছিল।

কিন্তু পিবিআইয়ের তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আকতারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে পিবিআই চলতি বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদন বলা হয়, তিন লাখ টাকা দিয়ে স্ত্রীকে খুন করান বাবুল। পরবর্তীতে নিহত মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুল আকতারসহ ৮ জনকে আসামি করে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পিবিআই বাবুল আকতারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করা হলে তিনি জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। গত ১৭ মে থেকে কারাগারে আছেন বাবুল।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print