
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চলমান ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনে অনেক শ্রমিক কর্মচারী, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। তারা অনাহার, অর্ধাহারে নিদারুন কষ্টে দিনযাপন করছেন। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-নেতারা কেবল লম্বা লম্বা বক্তব্যে ব্যস্ত রয়েছেন। যার ফলে ভুক্তভোগীদের কষ্টের সীমা তীব্র মাত্রায় উপনীত হয়েছে।
তিনি বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের পক্ষ থেকে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা। শাহাদাত বলেন- করোনা মহামারীকে পুঁজি করে সরকার সাধারন মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এখন নতুন করে মার্কেট, শপিংমল, কারখানা খুলে মানুষকে আরো ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। করোনা মোকাবেলার নামে সরকার প্রতিদিন আত্বঘাতী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যে মহুর্তে কঠোর হওয়ার কথা সে সময় সরকার নমনীয় হচ্ছে। সরকার জনগণের মাঝে খাদ্য সামগ্রীসহ ত্রাণ সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি অসহায় শ্রমজীবী মানুষের সাহায্যে বিত্তশালী ধনি ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা করোনা মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন হওয়ার কথা বলছে। অথচ সরকার দোকানও খুলবে, আবার জনগণকে সচেতন হতেও বলবে। এ থেকে বোঝা যায় তাদের ভিতরে কোন সমন্বয় নেই। এসি রুমে নিজেদেরকে নিরাপদে রেখে তাদের যেমন খুশি তেমন কথা বলে জনগণকে বিপদের মুখে ফেলছে। অথচ শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বিএনপি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতেও একইভাবে শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাদের নিরাপদ রাখলে দেশ নিরাপদ থাকবে। অথচ সরকার এ শ্রমিকদের জীবন জীবিকাকে কঠিন করে তুলেছে। শ্রমিকরা এখন সময়মতো বেতন পাচ্ছে না, অনেক কারখানায় শ্রমিকদের ছাটাইও করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সব শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় আমরা সর্বদা সচেতন ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সমাজ প্রগতির পতাকাবাহী শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা সংকল্পবদ্ধ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় শ্রমিক দলের সি.সহ সভাপতি শ. ম. জামাল উদ্দিন, সহ সভাপতি শামসুল আলম (ডক), মহানগর বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, মহানগর মহিলা শ্রমিকদলের সভাপতি শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, বাকলিয়া থানা শ্রমিকদলের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী, শ্রমিকদল নেতা রফিকুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান বিপ্লব, আনোয়ারুল আজিম সবুজ, আবদুল মান্নান, মো. বাবুল, রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমূখ।