
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ থেকে সিলেট নেয়ার সময় ট্রাক ভর্তি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ২০০ বস্তা সুপারি লুটের ঘটনায় টানা দুদিন অভিযান চালিয়ে সিলেটের জৈন্তাপুর থানা এলাকা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার এবং ৫০ লাখ টাকার ১৮২ বস্তা সুপারি উদ্ধার করেছে সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ৩ জন হল- মো. ফয়সাল আহমদ (২৭), আজিজুল হক (৫২) ও লোকমান হোসেন প্রকাশ টুটুলকে (২৩)। এ লুটের সাথে জড়িত আরও বেশ কয়েকজন পলাতক রয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকৃত ২০০ বস্তা সুপারি চট্টগ্রাম থেকে সিলেট কাজী বাজারে পৌঁছে দেয়ার জন্য ২০ হাজার টাকায় ভাড়া করা হয় একটি ট্রাক। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব ব্যবসায়িক সুবাদে ট্রাক মালিক শেবুল মিয়া, ভুট্টু ও ড্রাইভার জাহাঙ্গীরের সাথে ছিলো ভাল একটি সম্পর্ক।
গত ৮ ই জুলাই বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন খাতুনগঞ্জ আব্দুল ওহাবের প্রতিষ্ঠান থেকে মাল লোড করে সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় তারা। কিন্তু পরদিন মাল না পৌঁছায় আব্দুল ওহাব শেবলু মিয়ার মোবাইলে কল করলে সেটি বন্ধ পান। পরে অনেক খোঁজার পর কুলাউড়া এলাকায় ট্রাকটি খুঁজে পেলেও সেখানে কোন সুপারি পাওয়া যায়নি। ১১ জুলাই তিনি এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে ১৫ জুলাই সিলেটের জৈন্তাপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. ফয়সাল আহমদ (২৭), আজিজুল হক (৫২) ও লোকমান হোসেন প্রকাশ টুটুলকে (২৩) গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ১৬২ বস্তা সুপারি উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ৫০ লাখ টাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, আরো ২০ বস্তা সুপারি কানাইঘাট থানার ৬ নম্বর ইউনিয়নের একটি গোডডাউনে আছে। তাদের দেয়া তথ্যমতে ওই গোডাউন থেকে আরো ২০ বস্তা সুপারি উদ্ধার করা হয়।
তারা আরো জানায়, সিদ্দিক, শাহিন, সামছুল ও দুলাল নামে চার ব্যক্তি তাদের কাছ থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের সুপারিগুলো নিয়ে যায়। পরে তারা এসব মালামালা ভারতে পাচার করে দেয়। তারা প্রায়ই যোগসাজশে এ ধরনের কাজ করে থাকে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নেজাম উদ্দীন রাতে পাঠক ডট নিউজকে জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ০৩ জন শাহিন, সামছুল এবং দুলালের সহযোগী। এছাড়া পলাতক ভুট্টু মানিক (২৮), মো. শেবলু মিয়া (৪৫) ড্রাইভার জাহাঙ্গীর চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন পণ্য ট্রাকে বহন করে একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌছে দেয়ার নামে ভাড়া নেয়। গন্তব্যে পৌছালেও নির্দিষ্ট স্থানে না নিয়ে তাহাদের সহযোগী পলাতক আসামী সিদ্দিক, শাহিন, সামছুল এবং দুলালের কাছে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে দেয়। পলাতক আসামীরা এসব মালামাল ক্রয় করে তাদের গোডাউনে রাখে এবং দুয়েক দিনের মধ্যে অবৈধ পথে ভারতে পাচার করে দেয়। পলাতক আসামীরা এর আগে এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় বেশ কয়েকবার হাজতবাস করেছে।