ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সাবেক আইজিপি ও সচিব এ.ওয়াই.বি.আই সিদ্দিকীর ইন্তেকাল

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি),সীতাকুণ্ডের কৃতি সন্তান ও সাবেক সচিব এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী (বুরহান সিদ্দিকী) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন) গতকাল শনিবার মধ্যরাতে মারা যান তিনি। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ লান্স ক্যান্সারে ভোগছিলেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ.কে.এম কামরুল আহছান তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটা তিন মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম সিভিল পিসকিপিং কন্টিনজেন্টের কমান্ডার ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, তাঁর লাশ দুপুরে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের নিজ গ্রামে অনা হয়েছে। আজ বাদ আসর সীতাকুণ্ডে মরহুমের গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ রহমত নগর মসজিদ মাঠে বাদ আছর দ্বিতীয় জায়নাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

এদিকে এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মুঠোফোনে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছে। ডিএমপির ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়, প্রয়াত বুরহান সিদ্দিকী বাংলাদেশের প্রথম সিভিল পিসকিপিং কন্টিনজেন্টের কমান্ডার ছিলেন।

মরহুমের প্রথম জানাযা আজ সকাল ১০ টায় ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠিত হয়।

 

.

এ.ওয়াই.বি.আই সিদ্দিকী যিনি ‘বুরহান সিদ্দিকী’ নামেও পরিচিত। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশী সাবেক কূটনীতিক, সাবেক সচিব এবং পুলিশ অফিসার যিনি ২৭.৯.১৯৯৮ থেকে ০৭.০৬.২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১৬তম পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৯-৯০ সালে নামিবিয়ায় জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হিসেবে অংশ নিয়ে প্রধান লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

কর্মজীবনে এ.ওয়াই.বি.আই সিদ্দিকী পানি সম্পদ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে তার তৃতীয় চুক্তির মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে শেষ হয়। তিনি ২০০৪ সালে সরকারী চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তারপরে একাধিক আন্তর্জাতিক পানি গবেষণা, আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন প্রকল্পের এসএমই এবং পরামর্শক হিসাবে কাজ করেন। ২০০৬ সালে তিনি জাতীয় প্রকল্প কো-অর্ডিনেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বিটিভির তালিকাভূক্ত সংগীত শিল্পী ও উপস্থাপক ছিলেন।

এ.ওয়াই.বি.আই সিদ্দিকী ১৯৪৫ সালে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম এ এম এল এ সিদ্দিকী। তিনি বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে এবং কলেজ পড়াশোনা শেষ করে লাহোরে চলে যান। সাবেক মন্ত্রী এলকে সিদ্দিকী তাঁর ভাই। তিনি ১৯৭১ সালে রেহানা সিদ্দিকীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক ছেলে লুৎফি সিদ্দিকী এবং এক মেয়ে হুসনা সিদ্দিকী। এর মধ্যে ছেলে লুৎফি সিদ্দিকী ইউনাইটেড ব্যাংক অফ সুইজারল্যান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এ.ওয়াই.বি.আই সিদ্দিকী ১৯৭০ সালে পুলিশের এএসপি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print