ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ভূমধ্যসাগরে নৌকায় ভাসছিল বাংলাদেশিসহ ৩৯৪ অভিবাসন প্রত্যাশী

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ভূমধ্যসাগরে বিপজ্জনকভাবে ভিড়েঠাসা দুটি কাঠের নৌকা থেকে ৩৯৪ অভিবাসীপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১ আগস্ট) ভোরে ছয় ঘণ্টার অভিযানে উদ্ধারকারী জাহাজ তাদের তীরে নিয়ে এসেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরের তিউনিশিয়ার জলসীমা থেকে তাদের উদ্ধার করে জার্মান ও ফ্রান্সের এনজিও জাহাজ সি-ওয়াচ ৩ এবং ওসেন ভাইকিং।

রয়টার্স জানিয়েছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অধিকাংশই মরোক্কো, বাংলাদেশ, মিসর ও সিরিয়ার। অভিবাসীপ্রত্যাশীদের মধ্যে ১৪১ জনকে উদ্ধার করেছে সি-ওয়াচ ৩। বাকিদের তীরে নিয়ে আসে ওসেন ভাইকিং। এতে জার্মানির এনজিও রেসকশিপের ইয়ট নাডির সহায়তা করেছে।

তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা; এখন পর্যন্ত তা জানা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি লিবিয়া ও তিউনিশিয়া থেকে ইতালিসহ বিভিন্ন ইউরোপীয় অঞ্চলগামী অভিবাসীপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়েছে।

এর আগে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার সময় লিবিয়া উপকূল থেকে দুই শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের অধিকাংশই বাংলাদেশ, সিরিয়া, ইরিত্রিয়া, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন ও ঘানার নাগরিক বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (৩১ জুলাই) গভীর সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। শুক্রবারও গভীর সমুদ্র থেকে আহত অবস্থায় ১৫ জনকে উদ্ধার করে ইতালির কোস্ট গার্ড।

গভীর সমুদ্র। ভরসা রাবারের নৌকা। উদ্দেশ্য স্বপ্নের ইউরোপ। যুদ্ধ আর ক্ষুধা থেকে বাঁচতে উন্নত জীবনের আশায় প্রতিদিনই এমন ভয়ঙ্কর পথ বেছে নিচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। দীর্ঘ এ বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে গিয়ে সলিলসমাধি হচ্ছে অনেকের। তবুও থেমে নেই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা।

শনিবার লিবিয়া উপকূলে আলাদা চারটি অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এসওএস। এদের অধিকাংশই সিরিয়া, ইরিত্রিয়া, নাইজেরিয়া এবং ঘানার নাগরিক বলে জানা গেছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ২৮ জন নারী এদের মধ্যে দুজন গর্ভবতী। এছাড়া আহত হয়েছেন দুই শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন।

কর্মকর্তারা জানান, শনিবার সকালে প্রথম অভিযান চালিয়ে ৫৭ জনকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে আরও ৫৪ জনকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে কয়েকজন দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। এছাড়া আলাদা একটি কাঠের নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৬৪ জনকে। আরেকটি রাবারের নৌকা থেকে ২১ সিরীয় নাগরিককে উদ্ধার করা হয়। তাদের বেসরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

শুক্রবারও (৩০ জুলাই) ভূমধ্যসাগরের গভীর সমুদ্র থেকে শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে জার্মানির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এদের মধ্যে ১৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১১০০ জন। যাদের অধিকাংশই আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print