
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পরিবেশকে ধ্বংস করার যে অপচেষ্টা চলছে তা প্রতিহত করতে হবে। সিআরবির ঐতিহ্য সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকা রক্ষার আন্দোলনে সকল পরিবেশবিদ সহ দল-মত নির্বিশেষে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আজ (৩ আগস্ট) মঙ্গলবার সিআরবি রক্ষায় গণঅধিকার ফোরাম ও পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (বাপসা) এর উদ্যোগে সিআরবিতে বাণিজ্যিক হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল, মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের কবর ও স্মৃতির স্মারক রক্ষা এবং সিআরবি’র নৈসর্গিক পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখার দাবিতে প্রতিবাদী অবস্থান ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে চট্টগ্রাম গণঅধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম রেলওয়ে জায়গার কোন অভাব নেই। কিন্তু তারপরও কেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এত জায়গা থাকতে সিআরবিতে ৬ একর জায়গা বরাদ্দ দিল তা এখন চট্টগ্রামবাসী জানতে চায়? আমরা আগেও স্পষ্ট ভাষায় বলে আসছি হাসপাতাল চাই,কিন্তু সিআরবিতে না। যদি একান্তই হাসপাতাল করতে হয় তবে বর্তমান যে বক্ষব্যাধি হাসপাতাল আছে সেই হাসপাতালটিকে আধুনিকায়ন করে কোভিড হাসপাতাল করুণ। কোভিড এর কারনে এখন কোন হাসপাতালের বেড খালি নেই। তাই যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে সিআরবির বক্ষব্যাধি হাসপাতালটিকে আধুনিকায়ন করে পূর্ণাঙ্গ একটি কোভিড হাসপাতাল করে তাতে চট্টগ্রামবাসী উপকৃত হবে।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরয়ের সদিচ্ছা থাকলে সিআরবির বক্ষব্যাধি হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করে পূর্ণাঙ্গ একটি কোভিড হাসপাতালে রুপান্তরিত করতে পারে। পাশাপাশি রেলওয়ে অন্য যে কোন জায়গায় বরাদ্দকৃত ৬ একর ভূমির উপর আর একটি হাসপাতাল করা অসম্ভব।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প ও বাণিজ্যিক প্রকল্পের গ্রাসে ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম শহরে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থান,পার্ক, খেলার মাঠ ধ্বংস করা হয়েছে। এখন অবশিষ্ট সি.আর.বি এলাকাও আজ মুনাফার লালশায় ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে।উন্নয়ন প্রকল্পের নামে জনগণের ট্যাক্স, ভ্যাট এর টাকা আত্মসাৎ করছে সরকার। দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিকতার কারণে সরকারের প্রকল্প গুলোর আজ বেহাল দশা।
বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম,একরামুল করিম বলেন, এম এ হাশেম রাজু. এডভোকেট মফিজ হক ভূঁইয়া, এস এম কামরুল ইসলাম।
আরও উপস্থিত ছিলেন, আবু মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী,মোহাম্মদ জাকির হোসেন, উত্তম কুমার আচার্য্য,মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, আলমগীর নূর, জানে আলম, নোমান উল্লাহ বাহার, আসাদুর রহমান টিপু, এস এম কামরুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া, যুবনেতা মোহাম্মদ মামুন, আকতার হোসেন, মহিউদ্দিন আজম, আসাদুর রহমান টিপু,নূরুন্নবী, সামিয়াত আমিন জিসান প্রমুখ। -প্রেসবিজ্ঞপ্তি