
আজ ৬ ডিসেম্বর। স্বৈরাচার পতন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ সামরিক আইন জারির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের টানা কর্মসূচির কারণে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
অবশ্য ক্ষমতার পালা বদলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হিসাবে রয়েছে জাতীয় পার্টি। দলটির কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহোজোটের মন্ত্রিসভায়ও রয়েছেন।
এদিকে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের এই দিনকে সামনে রেখে শুক্রবার এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্র মুক্তি দিবস। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। নূর হোসেন, বাবুল, ফাত্তাহ, ডা. মিলনসহ অগণিত মানুষ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আত্মাহুতি দেন। তিনি এই দিবসে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান। তিনি গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করতে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে একতাবদ্ধ হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী একদলীয় শাসনের চরিত্রগুলো ক্রমশ ফুটে উঠছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর আচরণে। অগণতান্ত্রিক অপশক্তি জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে যাচ্ছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করে গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এরশাদের জাতীয় পার্টি ৬ ডিসেম্বরকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এ উপলক্ষে কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় পার্টি।